গত কয়েকদিন ধরেই ত্রিপুরায় আইপ্যাক সদস্যদের হেনস্তা করছে সেখানের পুলিশ–প্রশাসন। ২৩ জন সদস্যকে আটকে রাখা হয়েছে। হোটেল–বন্দি অবস্থাতেও রেহাই নেই তাঁদের। নানা চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে তাঁদের উপর। এই পরিস্থিতিতে এসডিএম–এর মামলার ভিত্তিতে আগাম জামিন নিলেন আইপ্যাক কর্মীরা। কারণ তা না হলে আরও অন্যান্যভাবে চাপ বাড়তে পারত। তাই চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত থেকে জামিন নিলেন ২৩ জন কর্মী।
এখানে কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে ১ অগস্ট, পূর্ব আগরতলা থানায় হাজিরা দিতে বলা হয় টিম পিকে’র সদস্যদের। এমনকী সমন পাঠায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, কোভিড পরীক্ষা না করিয়েই ভিন রাজ্য থেকে আসা আইপ্যাকের সদস্যরা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। কোভিড পরীক্ষার পরেই তাঁদের মহামারি আইনে তলব করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা বাংলার আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক দাবি করেন, পুলিশ মিথ্যে কথা বলছে। কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরেও আটকে রাখা হয়েছে আইপ্যাক–কর্মীদের। এটা অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ।
পূর্ব আগরতলার একটি হোটেলে বন্দি রয়েছেন টিম পিকের সদস্যরা! হোটেলের ভিতরে–বাইরে রয়েছে সশস্ত্র পুলিশ। তাই নজরবন্দি করার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছেছেন ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে খানিকটা চাপ বেড়েছে বিপ্লব দেব প্রশাসনের উপর। আইপ্যাকের ৫ সদস্যের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। তারপরই বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু প্রশ্ন তোলেন, ‘মাথায় প্রশান্ত কিশোর আছেন এটাই কি অপরাধ? কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তারপরও আটকে রাখা হয়েছে। বিজেপির ফ্যাসিবাদী মানসিকতা সবাই দেখতে পাচ্ছে!’
এই ঘটনার প্রতিবাদে আগরতলার ধর্মনগরে মিছিল করে তৃণমূল কংগ্রেস। পুলিশ মিছিল আটকালে ধুন্ধুমার বেধে যায়। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমাগত সংগঠন শক্তিশালী করছে। তা এই পরিস্থিতি তৈরি হতেই বুঝতে পেরেছে বিপ্লব দেবের পুলিশ–প্রশাসন। আজ আগরতলার হোটেলে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক বৈঠকের আগে হানা দেয় পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, হেনস্তা করতেই এই হানা দেওয়া হয়। এরপর আগরতলায় পৌঁছন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন। শুক্রবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগরতলায় আসছেন। সুতরাং চাপ বাড়তে চলেছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের উপর।