প্রশান্ত কিশোরের কংগ্রেস যোগ নিয়ে জোর জল্পনা জারি রয়েছে। এই আবহে বিগত চারদিনে তিনবার ১০ জনপথে গিয়ে কংগ্রেসের অন্তরবর্তী সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন ভোটকুশলী। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করতে বেশ কিছু ‘ওষুধ’ বাতলে দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তবে ‘অসুস্থতা’ সাড়াতে সেই সব ওষুধ কংগ্রেস খাবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করলেন সোনিয়া গান্ধী। এবং এই কমিটিকে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সোনিয়া গান্ধী।
জানা গিয়েছে সোনিয়ার গঠন করে দেওয়া কমিটির সদস্যরা বুধবার কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। কংগ্রেসের ভবিষ্যত নিয়ে ভূপেশ বাঘেল ও অশোক গেহলটের মতামত নেওয়া হয়। দুই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও দেখা করেন বুধবার। সেই বৈঠকে আসন্ন নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকের সময় প্রশান্ত কিশোরও ১০ জনপথে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা সেই বৈঠকে, দুই মুখ্যমন্ত্রী নিজ নিজ রাজ্যের জন্য তাদের নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন এবং সেখানে তা বাস্তবায়নের জন্য প্রশান্ত কিশোরের থেকে অতিরিক্ত পরামর্শ চান।
আরও পড়ুন : ‘ইউক্রেন নিয়ে ভারতকে লেকচার দেবেন না জনসন’, সফরে ফোকাস দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে
এদিকে কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা সাংবাদিকদের বলেছেন যে কমিটি গত দুই-তিন দিন ধরে আলোচনা করছে এবং আলোচনা শেষ করার পর আগামী তিন দিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দেবে। তবে যখন সূর্যেওয়ালাকে এটা জিজ্ঞেস করা হয় যে এই কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই প্রশান্ত কিশোরকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে হবে কি না, তখন কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কংগ্রেস দলে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত কিনা তা পরামর্শ দেওয়া কমিটির ভূমিকা নয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করার ব্যবস্থা নেওয়া এবং ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং অন্যান্য রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হল এই কমিটির কাজ।’