তিব্বতের কাছে ভারত–চিন সীমান্তে এই প্রথম অত্যাধুনিতক স্থায়ী সেনা ছাউনি (ব্যারাক) তৈরি করছে চিনের লালফৌজ। শুধু সেনা ছাউনিই নয়, প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র মজুত করা হচ্ছে সেখানে। এর আগে এখানে একটি অস্থায়ী সেনা ছাউনি ছিল। কিন্তু এবারে স্থায়ী ব্যারাক তৈরি করা হচ্ছে। লাদাখ সীমান্তে ভারত–চিন সংঘর্ষের পর থেকেই চিন যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি হচ্ছে। তারই সর্বশেষ উদাহরণ এটি।
উপগ্রহ চিত্র থেকে অবশ্য স্পষ্ট হয়েছে, নাগরির কাছে সীমান্তরেখা বরাবর চিন সেনার বিশাল নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে বায়ুসেনা ঘাঁটিও তৈরি করা হচ্ছে। ঠিক কতজন সেনা ওই সেনা ছাউনিতে আছে তা বোঝা না গেলেও উপগ্রহ চিত্র থেকে স্পষ্ট, বিশাল পরিমাণে সেনা সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে।
উপগ্রহ চিত্র থেকে স্পষ্ট জানা গিয়েছে, জায়গাটি ১৫০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। নাগরি ভারত, নেপাল এবং চিন এই তিন দেশের সীমান্ত এলাকায় রয়েছে। এটি তিব্বতের অত্যন্ত প্রত্যন্ত এলাকা। উপগ্রহ চিত্রে কিছুটা বোঝা গেলেও চিনের সেন্টাল টেলিভিশনের পক্ষ থেকে অবশ্য এই বিষয়ে কোনও তথ্যই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। কবে থেকে এই নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বা কতটা বড় এই সেনা ছাউনি কোনও কিছুই অবশ্য জানানো হয়নি। এখানে একদিকে কৈলাশ পর্বত অন্যদিকে মানস সরোবর লেক রয়েছে। সুতরাং এখান থেকে সহজেই গোপনে সীমান্তে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।
যেখানে ভারত–চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত অব্যাহত, সেখানে চিনের এই ধরনের পদক্ষেপ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে কূটনৈতিক ও সেনাবাহিনী কমান্ডারদের মধ্যে একাধিকবার সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমনে কথা হয়েছে। পাঁচটি শর্তে উভয় দেশ রাজি হয়েছে। সীমান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। চিন আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এগিয়েই চলেছে।