লাদাখে শান্তি ফেরাতে সীমান্তে বাফার জোন তৈরি করা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল ভারত ও চিনা আধিকারিকদের মধ্যে। তবে সেই বাফার জোন কোন এলাকাকে কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ধরে নির্ধারণ করা হবে তা নিয়ে চুপ চিন। উল্লেখ্য, বাফার জোনের মধ্যকার এলাকাটিকে অলিখিত ভাবে দুই দেশই নিজেদের নিয়ন্ত্রণরেখা হিসেবে মেনে নেবে। তবে সেই রেফারেন্স পয়েন্ট বা রেখা নিয়ে নীরবতা পালন করছে চিন। এর নেপথ্যে লাদাখের উপর চিনের সার্বভৌমত্বের দাবি হতে পারে বলে মত অনেকের।
প্রসঙ্গত, এর আগে ১৯৮৬ সালে অরুণাচলপ্রদেশে সুমদরং সংঘাতের সময়ও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। চিন অরুণাচলকে নিজেদের দেশ হিসেবে দাবি করে। এদিকে শান্তি বিরাজ করতে বাফার জোনের প্রস্তাব দিয়েছিল চিন। তবে সেখানেও বাফআর জোনের মধ্যরেখা নিয়ে মুখ খোলেনি চিন। কারণ তা নিয়ে চিনের কোনও মন্তব্যের অর্থ হত সেই রেখার দক্ষিণের এলাকাকে ভারতের অংশ হিসেবে মেনে নিচ্ছে বেজিং। লাদাখের ক্ষেত্রেও বিষয়টি এক।
উল্লেখ্য, এগারো বার বৈঠকের পরেও সমাধান হয়নি। বিতর্কিত অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করার নিয়ে বারে বারে অনীহা প্রকাশ করেছে চিন। হট স্প্রিং আর গোগরা পোস্টে পিপি-১৫ আর পিপি-১৭ থেকে একসময় সেনা প্রত্যাহারে রাজি হলেও পরে ওই অঞ্চল খালি করতে অস্বীকার করে। যদিও প্যাংগং লেকের উত্তরে বাফার জোন তৈরিতে সম্মত হয়েছে চিন। এদিকে প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণ রেখার ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত 'নো-ফ্লাই' জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে লাদাখ সীমান্ত বরাবর নির্দিষ্ট কোনও বাফার জোন না থাকায় এখনও যেকোনও সময় বাড়তে পারে উত্তেজনা। সূত্র অনুযায়ী, শেষ বৈঠকে চিন ভারতকে বলেছে, ভারত যেটুকু পেয়েছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা উচিত তার। এই পরিস্থিতিতে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে অচলাবস্থা আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।