লাদাখের সীমান্ত বিবাদ মেটাতে সেনার উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিক স্তরের আলোচনায় ইচ্ছুক নয় চিন। বেজিংয়ের ইচ্ছে, এই বিবাদ মেটাতে স্থানীয় কমান্ডারদের আলোচনা করুক। এদিকে সীমান্তে নিজেদের সেনাদের বদলি করেছে চিন। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় কমান্ডাররাও স্থানীয় সমস্যার সঙ্গে ততটা অবগত হবেন না। এই পরিস্থিতিতে ভারত-চিনের ১২তম বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, ভারতের পূর্ব লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন ৯০ শতাংশ সেনাকে বদলি করেছে বেজিং। তার বদলে চিনের হিন্টারল্যান্ড থেকে সম সংখ্যক বাহিনী লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছর করোনার জেরে লকডাউনের সময় থেকেই প্যাংগং লেকের কাছে ভারতীয় ভূখণ্ড জবরদখল করেছিল পিপলস লিবারেশন আর্মি। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারত ও চিনের সেনারা মুখোমুখি অবস্থান করছিল। দুই তরফেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি যুদ্ধ পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল এক সময়ে।
তবে, পরবর্তী সময়ে আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ প্যাংগং লেকের দু’দিক থেকে বাহিনীকে প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়। প্রসঙ্গত, তার পর থেকেই লাদাখের পূর্ব সীমান্তে আরও কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু, ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে বাহিনী সরালেও, তাদের চিনের ফরওর্য়াড পোস্টেই রাখা হয়েছিল। কিন্তু হিমালয়ের ঠান্ডায় এবার সেই বাহিনী বদল করতে বাধ্য হয়েছে বেজিং।
জানা গিয়েছে, হিমালয় অঞ্চলের অত্যাধিক ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে লাল ফৌজের সদস্যরা। তাই তাদের বদলে এবার নতুন বাহিনী নিয়ে আনা হয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ বাহিনীর সদস্যদের সেখানে বদলে ফেলা হয়েছে। তবে এই বাহিনী বদল এখন থেকে চলছে না। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, প্যাংগং লেকের ধারে দুই দেশের বাহিনীর মুখোমুখি অবস্থানের সময়েও প্রায় রোজই বাহিনীর সদস্যদের বদল করা হত।