উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনের সাংবিধানিক বৈধতা সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্যে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জীব কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথন এই মামলা শুনবে। এই মামলার শুনানি হতে চলেছে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, ১৯৪৭-এ স্বাধীনতার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রাখতে হবে। কোনও মন্দির, মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। তবে অযোধ্যায় ধ্বংস হওয়া বাবরি মসজিদের জায়গায় তৈরি হয়েছে রাম মন্দির। যদিও বিতর্ক রয়েছে মথুরায় শাহি ইদগাহ মসজিদ ও বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়েও। (আরও পড়ুন: ধার নিল, প্রাণও নিল! বাংলাদেশে হিন্দু মহিলাকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত প্রতিবেশী)
আরও পড়ুন: শহিদ ভগৎ সিংকে 'সন্ত্রাসবাদী' মনে করে পাকিস্তান! কী বলছে ভারত?
প্রসঙ্গত, রামমন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে আইনি বিবাদের চলাকালীন ১৯৯১ সালে উপাসনাস্থল আইন অনুমোদন করেছিল সংসদ। উপাসনাস্থলের চরিত্র বদলে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আইনে এও বলা হয়েছিল, এ নিয়ে কোনও মামলা করা যাবে না। অযোধ্যার বিবাদই একমাত্র ব্যতিক্রম থাকবে এই ক্ষেত্রে। যদিও উপাসনাস্থল আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টে মামলাকারী উপাধ্যায়ের যুক্তি, উপাসনাস্থল আইন বৈষম্যমূলক। এর ফলে হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্ট যে মামলাটি শুনবে, সেটি করেছে বিশ্ব ভদ্র পুজারি পুরোহিত মহাসঙ্ঘ। এরই সঙ্গে সুব্রমহ্মণ্যম স্বামী সহ আরও অনেকজনের করা মামলা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। (আরও পড়ুন: ইউনুস জমানায় বাংলাদেশ থেকে কতজন অনুপ্রবেশ করেছে ভারতে? জানাল BSF)
আরও পড়ুন: জোটসঙ্গীরা নাকি দেখতেই পারে না তাঁকে, ইন্ডিয়া ব্লক নিয়ে বিস্ফোরক মমতা
এদিকে এর আগে সুপ্রিম কোর্টের অযোধ্যা রায়ে বলা হয়েছিল, ‘১৯৯১ সালের আইনটি আমাদের ইতিহাস এবং জাতির ভবিষ্যতের সাথে কথা বলে... জনসাধারণের উপাসনার স্থানগুলির চরিত্র সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে আইছে। সংসদ এটা বলেনি যে বর্তমান ও ভবিষ্যৎকে নিপীড়নের যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে ইতিহাস এবং এর ভুলগুলিকে। তবে অতীতে কোথায় কী ছিল, তা ভেবে ফের মন্দির বা মসজিদের চরিত্র বদল না করাটা ধর্মনিরপেক্ষতার মূলমন্ত্র। সে কারণে এই আইন তৈরি হয়েছে।’ (আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু উপাচার্যের পদত্যাগ, বিপ্লবের নামে অত্যাচার?)
আরও পড়ুন: এমন সব ইস্যু… ভারতের চিন্তায় 'ঘুম উড়ল' বাংলাদেশের! স্মারকলিপি ভারতীয় হাইকমিশনে
এই আবহে অযোধ্যা বিবাদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়তে কি ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনের বৈধতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব মিলেছে কি না, তা নিয়ে কেন্দ্রের কাছে জবাব জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেটা ২০২৩ সালে। আর এবারে এই মামলার শুনতে বিশেষ বেঞ্চের গঠন করল সুপ্রিম কোর্ট।