উপাসনাস্থল আইন নিয়ে দেশের অন্যত্র আপাতত কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না। যে মামলাগুলি বিচারাধীন আছে, সেগুলির কার্যকরী বা চূড়ান্ত রায়দান করতে পারবে না নিম্ন আদালত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এখন শীর্ষ আদালতে যে মামলা চলছে, যতক্ষণ না সেটার চূড়ান্ত রায় দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনের বিরোধিতা করে দেশের কোনও প্রান্তে মামলা দায়ের করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়েছে যে কোনও মামলার ক্ষেত্রেই কোনও সমীক্ষা বা কার্যকরী নির্দেশ দিতে পারবে না দেশের কোনও ট্রায়াল কোর্ট। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অযোধ্যা মামলাতেও বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট
বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে এরকম মামলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর যতক্ষণ না ১৯৯১ সালের আইনের বৈধতা বিচার করা হচ্ছে, ততক্ষণ সেই বিষয়গুলি নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। যে বিষয়টি অযোধ্যা মামলার সময় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চও উল্লেখ করেছিল।
সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ (যে বেঞ্চে আছেন বিচারপতি পিভি সঞ্জয় কুমার এবং বিচাপপতি কেভি বিশ্বনাথনও) বলেছেন, 'এই বিষয়টি যেহেতু বিচারাধীন আছে, তাই আমরা মনে করছি যে নতুন করে কোনও মামলা দায়ের না করা বা কোনও মামলার রায়দান না করার বিষয়টা ঠিক হবে। যে যে মামলাগুলি চলছে, কোনও কার্যকরী নির্দেশ বা কোনও চূড়ান্ত নির্দেশ দিতে পারবে না (নিম্ন আদালত)।'
উপাসনাস্থল আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
১) নতুন করে কোনও মামলা দায়ের করা যাবে না।
২) কোনও কার্যকরী চূড়ান্ত নির্দেশ বা অন্তর্বর্তীকালীন রায় দেওয়া যাবে না।
৩) কোনও কাঠামোর সমীক্ষা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত প্রদান করা যাবে না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খুশি কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি
আর সেই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান অজয় রাই বলেছেন, 'এই নির্দেশের ফলে সমাজে ভ্রাতৃত্ববোঝ এবং শান্তি বাড়বে। সুপ্রিম কোর্ট আজ যে নির্দেশ দিল, তাতে আমাদের বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।' একইসুরে সমাজবাদী পার্টির নেতা তথা বিধান পরিষদের সদস্য রাজেন্দ্র চৌধুরী বলেছেন, ‘এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটা আমাদের বিচারবিভাগকে আরও মজবুত করবে। আর বিচারবিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও বাড়বে।’