মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় একটি প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল গতকাল গভীর রাতে। বিমানটি একটি মন্দিরে ধাক্কা খেয়ে ভেঙে পড়েছে বলে জানা যায়। জানা গিয়েছে, রেওয়ার চোরহাটা থানা এলাকার উমরি গ্রামে মন্দিরের চূড়ার সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিমানটি ভেঙে পড়ে। বিমানের পাইলট ও এক যাত্রী গুরুতর আহত হন ঘটনায়। জানা গিয়েছে বিমানে থাকা যাত্রী প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য বিমানে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাদের সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরে সিনিয়র পাইলটের মৃত্যু হয়। (আরও পড়ুন: বিমানে মহিলার গায়ে টয়লেট করা ব্যক্তির নামে লুক আউট সার্কুলার জারির দাবি পুলিশের)
জানা গিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনাটি গতরাত রাত ১২ থেকে ১টার মধ্যে ঘটে। বলা হচ্ছে, এই প্লেনটি চোরহাটা এয়ারস্ট্রিপ থেকে আকাশে উড়ে গিয়েছিল। পরে ঘন কুয়াশার কারণে এই প্লেনটি অনেকটাই নিচে দিয়ে উড়তে থাকে। সেই সময় একটি আম গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মন্দিরের চূড়ার সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধায় বিমানটি। দুর্ঘটনায় মন্দিররে চূড়াটিও ভেঙে পড়ে। এই বিমানটি মন্দিরের পরিবর্তে একটি বাড়িতে ধাক্কা দিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে, সেখানে আশেপাশে অনেক বাড়িই ছিল। এ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং উদ্ধারকাজ শুরু করে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় গ্রামবাসীও। বিমানটি এমন জোরে মন্দিরের চূড়ার সঙ্গে ধাক্কা খায় যে চূড়ার একাংশ ছিটকে অনেকটা দূরে গিয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার পরপরই আহত দুজনকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চিকিৎসার জন্য রেওয়ায় সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিনিয়র পাইলটের মৃত্যু হয়। নিহতের নাম বিমল কুমার (৬০)। তিনি বিহারের বাসিন্দা ছিলেন। এদিকে আহত প্রশিক্ষণার্থীর নাম সোনু কুমার (২৪)। তিনি রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে পুলিশ বিষয়টির তদন্তে নিয়োজিত রয়েছে। ঘটনার কারণ হিসেবে ঘন কুয়াশাকেই দায়ী করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন জেলাশাসক মনোজ পুষ্প ও এসপি নবনীত ভাসিনও।