চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল উত্তরাখণ্ডের একটি জেলে। রামলীলায় অংশগ্রহণ করে সীতাকে খুঁজতে যাওয়ার নাম করে জেল থেকে পালাল দুই বন্দি। পলাতক বন্দিদের মধ্যে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত খুনের আসামি এবং অন্যজন অপহরণে অভিযুক্ত। কড়া নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বে কীভাবে জেল থেকে পালাল বন্দিরা? তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।শুক্রবার উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের উচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট জেলা কারাগারে বার্ষিক রামলীলা অনুষ্ঠানের সময় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: উপসংশোধনাগারের পাঁচিল টপকে পালাল বন্দি, দুজনের খোঁজে তল্লাশি জারি
জানা গিয়েছে, যে দুজন জেল থেকে পালিয়েছে তাদের মধ্যে একজনের নাম পঙ্কজ। তিনি রুরকির বাসিন্দা। একটি খুনের মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত। অন্যজন উত্তরপ্রদেশের গোন্ডার বাসিন্দা। তার নাম রাজকুমার। অপহরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন। জানা যায়, দুজনের বানর চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। রামায়ণ অনুসারে ভগবান সীতার সন্ধানে গিয়েছিলেন বানর। সেইমতো তারাও সীতার সন্ধানে বেরিয়ে পড়েন। তার পরে আর দুজন ফেরেননি। বেশ কিছুক্ষণ পরে জেল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে তারা দুজনে উধাও রয়েছেন। তারপরেই স্থানীয় পুলিশ পালিয়ে যাওয়া বন্দিদের ধরতে অভিযান শুরু করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল পড়ে যায় জেলে।
এমন পরিস্থিতিতে জেল প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। অন্যদিকে, পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।প্রতিবেদন অনুসারে, হরিদ্বার জেলা কারাগারে রাম লীলার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে বন্দিরা আয়োজন করে থাকে। যার মধ্যে অভিনয় এবং মঞ্চ ব্যবস্থাপনাও রয়েছে। শুক্রবার রামলীলা চলাকালীন পঙ্কজ এবং রাজকুমার যারা সীতাকে খুঁজছিলেন বানর সেনার সদস্যদের মধ্যে ছিলেন। সেই সুযোগে তারা জেল থেকে পালিয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, একটি সিঁড়ি ব্যবহার করে জেলার পাঁচিল টপকে তারা পালিয়ে যান ।
অন্যদিকে, আলাদা একটি ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি জেলা হাসপাতাল থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত একজন পালিয়ে যায়। পুলিশ তার পিছু নেয়। পিছন থেকে পুলিশ আসতে দেখে অভিযুক্ত একটি ড্রেনে ঝাঁপ দেয়। এরপর পুলিশও ড্রেনে ঝাঁপ দেয়। অবশেষে পুলিশ অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়।