আর কয়েকদিন পর ভারেতর প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তবে তাঁর নিয়োগের বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। বুধবার সেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হল। শীর্ষ আদালত বলে, ‘এই গোটা আবেদনটি ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ তোলা হয়েছিল আবেদনে। তবে প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।
এর আগে গত ১১ অক্টোবর ভারতের প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিত তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নাম ঘোষণা করেন। দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আগামী ৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপচতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে ইউইউ ললিতের। এরপরই ৯ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করবেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
প্রধান বিচারপতি হিসেবে জাস্টিস চন্দ্রচূড়ের মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এর আগে ১৯৯৮ সালে ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ২০১৩ সালে এলাহাবাদ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন। তিনি বোম্বে হাই কোর্টেও নিযুক্ত ছিলেন। ২০১৬ সালে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি হিসাবে উন্নীত হন জাস্টিস চন্দ্রচূড়। ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে দুই দফায় নিজের বাবা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ওয়াইভি চন্দ্রচূড়ের রায় খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ৩৬ বছর আগে ব্যভিচার নিয়ে তাঁর বাবা যে রায় দিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এর আগে এডিএম জব্বলপুর মামলার প্রেক্ষিতে ১৯৭৬ সালের রায় খারিজ করেছিলেন ২০১৭ সালে। সেই রায়টিও বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের বাবার দেওয়া ছিল।