স্কুল, কলেজের মতো সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টেও লম্বা ছুটি থাকে বছরের বেশ কিছু সময়। গরমের ছুটি, পুজোর ছুটি, দিওয়ালির ছুটি, বড়দিনের ছুটি মিলিয়ে প্রায় দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকে আদালতের কার্যক্রম। বিচারাধীন মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয় সেই সময়। এই আবহে আদালতের এই লম্বা ছুটিগুলির বিরোধিতা করেই বম্বে হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে একটি মামলা। সেই মামলার শুনানি দিওয়ালির ছুটির পর হবে বলে জানিয়ে দিল উচ্চ আদালত।
উল্লেখ্য, সাবিনা লকড়াওয়ালার হয়ে অ্যাডভোকেট ম্যাথুজ নেদুমপাড়া বম্বে হাই কোর্টে একটি মামলার আবেদন করে দাবি করেন, ‘আদালতের লম্বা ছুটি মামলাকারীদের মৌলিক অধিকার খর্ব করে।’ মামলাকারীর দাবি, আদালতের লম্বা ছুটির এই প্রথা বন্ধ হওয়া উচিত। মামলাটি শুনছে বিচারপতি সাভ গঙ্গাপুরওয়ালা ও বিচারপতি রান লাড্ডার ডিভিশন বেঞ্চ। এই আবহে মামলাকারীকে আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, ‘২০২২ সালের কোর্ট ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বরে। তাহলে এখন কেন এই লম্বা ছুটির প্রশ্ন নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হচ্ছে?’ পরে বেঞ্চ জানায়, এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ নভেম্বর, অর্থাৎ দিওয়ালির ছুটির পর হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার থেকে দুই সপ্তাহের দিওয়ালি ছুটিতে যাবে বম্বে হাই কোর্ট। দেশের আরও সব আদালতও বন্ধ থাকবে দিওয়ালি উপলক্ষে। বম্বে হাই কোর্টে এই সময়ে খুব অল্প সংখ্যক বিচারপতি কাজ করবেন জরুরি কিছু মামলার ক্ষেত্রে। আদালতে বিচারাধীন বাকি সব মামলারই পরবর্তী শুনানি ছুটির পর হবে। সব আদালতে এটাই হয়ে থাকে। এই আবহে মামলাকারীর বক্তব্য, একাধিক অনুরোধ করা সত্ত্বেও সময়ের অভাবে আদালত গতবছর তাঁর দায়ের করা আবেদনে জরুরি ভিত্তিতে শোনেনি। এই আবহে তাঁর দাবি, লম্বা ছুটি বিচার ব্যবস্থার ক্ষতি করবে। নিজের আবেদনে মামলাকারী বলেন, ‘লম্বা ছুটির বিষয়টি ঔপনিবেশিক যুগের। তখন আদালতের ব্রিটিশ বিচারপতিরা গরম সহ্য করতে পারতেন না। তখন সমুদ্র পথে ব্রিটেনে যেতেন। তাই এই ছুটি তখন দরকার ছিল। তবে এখন এটা একটা বিলাশিতা।’