প্রতি ভারতবাসীরই তাঁদের ইচ্ছামতো ভগবানকে বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। আসলে একজন আধ্যাত্মিক গুরুকে পরমাত্মা হিসাবে ঘোষণার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেওয়া হয়েছে।
ওই আবেদনকে নাকচ করে দিয়েছে আদালত। বিচারপতি এমআর শাহ ও সিটি রবিকুমারের বেঞ্চ জানিয়েছেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ভারতের নাগরিকদের শুধু শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে পরামাত্মা হিসাবে প্রার্থনা করতে হবে এই আবেদনকে মানা যায় না। এমনকী এই মামলার আবেদনকারী উপেন্দ্র নাথ দলাইকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
আদালত জানিয়েছে, এবার জনস্বার্থ মামলা করার আগে দুবার ভাববেন আবেদনকারী। চার সপ্তাহের মধ্য়ে জরিমানার অর্থ জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে এর আগে ওই আবেদনকারী আদালতে হিন্দিতে জানিয়েছিলেন, শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রকে পরমাত্মা হিসাবে ঘোষণা করতে হবে।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি আপনি চান তবে তাঁকে পরমাত্মা বলতেই পারেন। কিন্তু অন্যদের উপর চাপিয়ে দিচ্ছেন কেন? আমরা আপনার লেকচার শোনার জন্য় আসিনি। আমরা সেকুলার দেশের বাসিন্দা। এর সঙ্গেই আদালতের পর্যবেক্ষণ এটা পাবলিটিসিটি ইন্টারেস্ট লিটিগেশন।
বিচারপতি বলেন, আপনি বলছেন যে একজন গুরুজীকেই মানতে হবে। এটা কি হতে পারে ভাইয়া? যার যা ধর্ম সেটা মানুন। এই দেশে সেটা সকলের অধিকার আছে। এই ভারতর সকলের অধিকার আছে তাদের নিজের ধর্ম পছন্দ করার।
কার্যত আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন ওই ব্যক্তি। পাশাপাশি আদালত কার্যত সতর্ক করে দিয়েছে তাঁকে। ভারত যে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ ও সেখানে একজন ধর্মগুরুকে এভাবে পরমাত্মা হিসাবে ঘোষণা করা যায় না, সেরকম কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না এনিয়েও জানিয়ে দিয়েছে আদালত।