'ভিতরে ঢুকতে দিন। দয়া করে সাহায্য করুন। তালিবান আসছে।' কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে কাঁদতে কাঁদতে মার্কিন সেনার কাছে (সম্ভবত) এমনই ভাষায় আকুতি করছেন এক মহিলা। যে ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
তালিবানি শাসনে অত্যাচার, দমনপীড়নের আশঙ্কায় কোনওক্রমে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন আফগানরা। রবিবার সন্ধ্যায় কাবুল ‘পতনের’ পর থেকে সেই মরিয়া ভাবটা আরও বেড়েছে। কাতারে-কাতারে মানুষ কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করেছেন। একটাই আশা - যদি কোনওভাবে আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে যাওয়া যায়।
তারইমধ্যে বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি কাঠ বা লোহার বেড়ার ওপারে দাঁড়িয়ে আছেন অসংখ্য মহিলা এবং পুরুষ। যে বেড়ার চারপাশটা কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা আছে। বেড়ার এপারে সম্ভবত মার্কিন সেনা আছে। আপাতত কাবুল বিমানবন্দরে প্রহরা দিচ্ছে মার্কিন সেনাই। বেড়ার ওপার থেকে কাঁদতে কাঁদতে এক মহিলাকে বলতে শোনা যায়, 'হেল্প, হেল্প, দয়া করে সাহায্য করুন। আমি সাহায্য চাই। তালিবান আসছে। তালিবান আসছে।' প্রতিটা শব্দ বলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গলা ধরে আসছে। মনে হচ্ছে যেন প্রতিবার আর্জি নাকচে বাঁচার আশা একটু-একটু করে কমছে।
আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের হাতে যাওয়ার পরই মহিলাদের আবারও কালোযুগে ফিরে যেতে হবে বলে আশঙ্কা করছেন বেশিরভাগ মানুষ। ২০-৩০ বছর আগেই যখন তালিবানি শাসনের সময় আফগানিস্তানে মহিলাদের কার্যত কোনও অধিকার ছিল না। মেয়েদের উপর নির্মম অত্যাচার চালানো হত। এবার অবশ্য সেই ধারণা পালটানোর চেষ্টা শুরু করেছে তালিবান। মঙ্গলবার তালিবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদকে উদ্ধৃত করে আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমে টোলো নিউজ বলেছে, ‘শরিয়তি আইনের উপর ভিত্তি করে মহিলাদের অধিকার প্রদানের বিষয়ে তালিবান প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য যে সকল ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রয়োজন হবে, সেখানে তাঁরা কাজ করতে পারবেন। মহিলাদের বিরুদ্ধে কোনওরকম বৈষম্য হবে না।’