সেন্ট্রাল ভিস্তায় প্রধানমন্ত্রী এবং উপরাষ্ট্রপতির নতুন বাসভবনের প্লট ঘিরে বিতর্কের অন্ত নেই। জনসাধারণের বিনোদনের স্থান দখল করে এই বাসভবন তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ একাংশের। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়। শুক্রবার সেই মামলায় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে জানায়, কোনওদিনই এই জমিগুলি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। ফলে অভিযোগকারীর দাবি অমূলক।
আইনজীবী রাজীব সুরি সুপ্রিম কোর্টে এই জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। সেন্ট্রাল ভিস্তার প্লট নম্বর ১-এর জমি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ CPWD-র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অশ্বনী মিত্তল সরকারি হলফনামা দাখিল করেন।
'প্লট নম্বর ১-এর এলাকাটি গত ৯০ বছর ধরে সরকারি দফতর (প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কার্যালয় এবং অস্থায়ী আবাসন) হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনও জনসাধারণের বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে এই জমি ব্যবহৃত হত না,' কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হয়েছে।
শুক্রবার বিচারপতি এএম খানউইলকর এবং সিটি রবিকুমারের বেঞ্চকে হলফনামা সম্পর্কে অবহিত করেন কেন্দ্রের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।
কেন্দ্র আদালতকে জানিয়েছে, সেন্ট্রাল ভিস্তার ছয়টি প্লটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে অস্থায়ী ব্যারাক বা আস্তাবল হিসাবে নির্মিত ঘরের কাঠামো ছিল। এই কাঠামোগুলি, ৯০ একরেরও বেশি জায়গা দখল করে ছিল। হলফনামায় বলা হয়েছে, এই 'সেন্ট্রাল ভিস্তার মূল্যবান জমির সামান্যই ব্যবহার করা হয়েছে।' এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ব্লকের কাছে এলএন্ডএম ব্লক (প্লট নং ১), সাউথ ব্লকের কাছে এএন্ডবি ব্লক, ত্যাগরাজ মার্গের প্লট নং ৩০, প্লট নং ৩৬ ও ৩৮, জামনগর হাউস এবং যোধপুর হাউস।
কেন উপরাষ্ট্রপতির বাসভবনটি প্লট নং ১-এ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে, তারও ব্যাখ্যা করে কেন্দ্র। হলফনামায় বলা হয়, 'এটি সেন্ট্রাল ভিস্তার ট্র্যাফিক পরিস্থিতি সহজ করতে সাহায্য করবে। কারণ উপরাষ্ট্রপতির চলাচল প্রধানত সংসদে অধিবেশন চলাকালীন হবে৷ প্রস্তাবিত উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন সংসদের কাছাকাছি হওয়ায় এটি সহজতর পথ হবে।'