অমৃতকালের বাজেট দিশাহীন বলে কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা আর্থিক বাজেটকে শূন্য বাজেট বলে দাবি করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি এই বাজেট নিয়ে টুইটও করেছেন। সেখানে এই বাজেটের কোনও বাস্তব কার্যকারিতা নেই বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও দেশের সব বিরোধী রাজ্যই এই বাজেটকে দিশাহীন এবং জনবিরোধী বলেছেন।
এই বাজেট দেখার পর রাহুল গান্ধী একটি টুইট করেছেন। সেই টুইটে তিনি লেখেন, ‘মোদী সরকারের শূন্য সমষ্টি বাজেট। বেতনভোগী শ্রেণী, মধ্যবিত্ত, দরিদ্র ও বঞ্চিত, যুবক, কৃষক, এমএসএমই সেক্টরের জন্য কিছুই নেই।’ এই বাজেট নিয়ে কোনও দিশা নেই বলে চর্চা ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উঠেছে। কারণ ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করলে তাতে কর দিতে হবে না বলে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু এই পরিমাণ অর্থ কতজন চাকরিজীবী রোজগার করেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ব্যবসা করলে সেটা সম্ভব। তাও এই পরিমাণ লাভ কতজন করতে পারেন সেটাও একটা প্রশ্ন। তাই এই বাজেটকে দিশাহীন বলা হচ্ছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এই বাজেটকে ‘অমৃতকালের বাজেট’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। আর সেটিকে মান্যতা দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, এই বাজেট অমৃতকালের শক্তিশালী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। যদিও এই বিষয়টিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই বাজেট বোঝাতে প্রত্যেক রাজ্যে যাবেন অমিত শাহ। মধ্যবিত্তদের ভোট টানাই এখন লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এই বাজেট। যদিও এটাকে অন্তঃসারশূন্য বাজেট বলেই বিরোধীদের ব্যাখ্যা।
ঠিক কী লিখেছেন রাহুল? এই বাজেটের প্রতিক্রিয়া হিসাবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ‘মিত্র কাল’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। টুইটে তিনি লিখছেন, ‘মিত্র কাল বাজেটে চাকরির সুযোগ তৈরি করার কোনও দিশা নেই। মূল্যবৃদ্ধি সামলাতে কোনও যোজনা নেই। বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে কোনও দিশা মোদী সরকার দেখাতে পারেনি। এক শতাংশ সবথেকে বড়লোক, ৪০ শতাংশ সবথেকে বড়লোক, ৫০ শতাংশ সবথেকে গরিব, ৬৪ শতাংশ জিএসটি দিয়ে থাকে। ৪২ শতাংশ যুবক–যুবতী বেকার। কিন্তু এরপরেও প্রধানমন্ত্রীর নজর সেদিকে নেই। এই বাজেট প্রমাণ করে ভারতের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করার সরকারের কাছে কোনও রোডম্যাপ নেই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup