করোনাভাইরাসের প্রকোপের জেরে বর্তমানে লকডাউনে ভারত। বন্ধ কলকারখানা। স্তব্ধ অর্থনীতি। এর প্রভাব যে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষগুলির ওপর সবচেয়ে পড়বে, তা জানে কেন্দ্র। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যান প্যাকেজের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
আট দফায় সমাজের প্রান্তিক মানুষের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে সংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা যাতে প্রয়োজনে তাদের জমানো টাকা ভাঙাতে পারেন, সেই সিদ্ধান্তও নিয়েছে মোদী সরকার। সেই সিদ্ধান্তের অধীনে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে টাকা তোলার ক্ষেত্রে শর্ত হিসাবে এবার মহামারীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস সংক্রমণকে মহামারী বলে অভিহিত করেছে। ইতিমধ্যে ভারতে ১৪ জন সহ বিশ্বে ২০,০০০ মানুষ এই রোগে মারা গিয়েছেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রভিডেন্ট ফান্ডে যত টাকা আছে তার ৭৫ শতাংশ তুলতে পারবেন ইপিএফও গ্রাহকরা। বিকল্প হিসাবে তিন মাসের মাইনেও তারা তুলে নিতে পারেন। এর মধ্যে যেটি কম হবে, সেটিই তুলতে পারবেন গ্রাহকরা।সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে চার কোটি ইপিএফও গ্রাহক লাভবান হবেন।
এছাড়াও ছোটো সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে আগামী তিন মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড দেবে কেন্দ্র। তবে এটি শুধু যেসব সংস্থায় ১০০ জনের কম কর্মী কাজ করেন ও তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ১৫ হাজারের কম মাইনে পান, তাদের জন্যেই প্রযোজ্য। এই স্কিমে সরকারকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে।