দেশজুড়ে উৎসবের মরশুমে ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে নবরাত্রি। তিথি মেনে এখনও দুর্গাপুজোর শুরু না হলেও প্রথমা-দ্বিতীয়া থেকেই মণ্ডপে-মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পরও অনেক জায়গায় ভিড় চোখ পড়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যা সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।
আপাতত দেশে সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। এমনকী মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত চব্বিশ ঘণ্টায় ভারতে ৪৬,৭৯০ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। যা গত তিন মাসে দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে সর্বনিম্ন। একইসঙ্গে সুস্থতার হার বেড়েও ৮৯ শতাংশ ছুঁইছুঁই। এই পরিস্থিতিতে স্বভাবতই উৎসবের মরশুমে বেপরোয়া মনোভাবের জেরে সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে যাক, তা একেবারেই চাইছে না সরকার। বিশেষত কেরালা ওনাম চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, পরিস্থিতি কতটা জটিল হতে পারে। তারইমধ্যে সন্ধ্যা ছ'টা থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ
- উৎসবের মরশুমে আনন্দ, উৎসাহ স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের সামান্যতম অসাবধানতার জন্য সেই আনন্দ মাটি হতে পারে।
- মনে রাখুন, যতদিন ওষুধ নয়, ততদিন কোনও ঢিলেমি নয়।
- করোনার টিকা তৈরি হয়ে গেলেই প্রত্যেক দেশবাসীর কাছে কীভাবে দ্রুত টিকা পাঠানো যায়, সেই প্রস্তুতিও সেরে রাখছে সরকার।
- যতদিন না পুরো সাফল্য মিলেছে, ততদিন বেপরোয়াভাবে কাজ করলে হবে না। যতদিন না টিকা আসছে, ততদিন আমরা লড়াইয়ে কোনওরকম ঢিলেমি দিতে পারব না।
- ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছিল। কিন্তু আচমকাও বাড়তেই শুরু করেছে।
- এখন মনে করলে হবে না যে করোনা চলে গিয়েছে বা করোনায় কোনও ক্ষতি করবে না। গত কয়েকদিনে আমরা একাধিক ভিডিয়ো দেখেছি যে মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব আছে।
- বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় ঢের ভালো। ভারতের আক্রান্তের হার অনেক কম।
- দেশে করোনা রোগীদের জন্য ৯০ লাখের বেশি শয্যা আছে। ১২,০০০ কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র আছে। দেশে টেস্টের সংখ্যা শীঘ্রই ১০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
- কিন্তু মনে রাখতে হবে, লকডাউন চলে গেলেও ভাইরাস যায়নি। আমাদের উচিত হবে না, পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে দেওয়া।
- করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনতা কার্ফু থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সবাই অনেক বড় রাস্তা হেঁটেছি। সময়ের সঙ্গে আর্থিক গতিবিধিও স্বাভাবিক হচ্ছে। আমরা এখন বাড়ির বাইরে বেরোচ্ছি। উৎসবের মরশুমে বাজারে আরও গতি এসেছে।