চিন নিয়ে কিছু বলবেন - তেমনই জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু ১৬ মিনিটের ভাষণে নাম নেওয়া তো দূর অস্ত, একবারও পড়শি দেশের প্রসঙ্গও টানলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা নিয়ে মোদীকে ‘ভীতু’ বলে খোঁচা দিল কংগ্রেস।
মোদীর জাতির উদ্দেশে শেষ হওয়ার পরই কংগ্রেসের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে চিনা ‘অনুপ্রবেশ’-এর ছবি পোস্ট করে বলা হয়, ‘চিনের নিন্দা ভুলে যান, জাতির উদ্দেশে ভাষণে সেই বিষয়ে কথা বলতেও খুব ভীত প্রধানমন্ত্রী।’
সোমবার রাতে টিকটক-সহ ৫৯ টি যে চিনা অ্যাপে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, তাতেও একবার ‘চিন’ উল্লেখ করা হয়নি। গত রবিবার ‘মন কি বাত’ সীমান্তে ‘চোখ তুলে তাকানো’ দেশের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেও একবার চিনের নাম নেননি মোদী। তা নিয়ে মোদী সরকারের উপর ক্রমশ চাপ বাড়িয়ে চলেছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে, আগামী নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৮০ কোটির বেশি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার যে ঘোষণা মোদী করেছেন, তার কৃতিত্ব নিতে আবার পিছপা হয়নি কংগ্রেস। ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’-র আওতায় মোদীর সেই ঘোষণার পরই কংগ্রেসের তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, 'গরিবদের বিনামূল্যে খাদ্য দেওয়ার যে পরামর্শ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, তা প্রধানমন্ত্রী মোদী মেনে নেওয়ায় আমরা আনন্দিত।'
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন মোদীকে চিঠি লিখে আগামী তিন মাস দেশের গরিব মানুষদের বিনামূল্যে খাদ্য প্রদানের আর্জি জানিয়েছিলেন সোনিয়া। সেই চিঠির ঠিক ন'দিনের মাথায় আরও পাঁচ মাস বিনামূল্যে খাদ্য প্রদানের ঘোষণা করায় স্বভাবতই কৃতিত্ব নিতে কোনও কসুর ছাড়ছে না কংগ্রেস। একইসঙ্গে মোদীর ভাষণকে খোঁচা দিয়ে কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ‘আরও একটা জাতির উদ্দেশে ভাষণ, যা সরকারি বিজ্ঞপ্তি হতে পারত।’ যদিও সাধারণত ৩০ মিনিটের বেশি ভাষণ দেন মোদী, মঙ্গলবার তার অর্ধেকেই নিজের বক্তৃতা গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি।