বিজেপির সঙ্গে এখনও যোজন দূরত্ব বজায় রাখছেন শিবসেনা নেতৃত্ব। তবে বিদ্রোহী বিধায়করা অবশ্য চাইছেন বিজেপির সঙ্গে এবার সম্পর্কটা ঠিকঠাক করে নেওয়া হোক। তবে সেই পথে হাঁটতে চায় না শিবসেনা মুখপত্র সামানা। সেখানে কাশ্মীরের সমস্যা, চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত ইস্যুতে মোদী সরকারকে তুলোধোনা করা হয়েছে।
একনাথ শিন্ডেকেও টার্গেট করা হয়েছে। শিবসেনা জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাশ্মীর নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করুক। মেহেবুবা মুফতি, পিডিপি প্রেসিডেন্ট আজাদ কাশ্মীরের সমর্থক। তিনি কাশ্মীরের পতাকা তুলে ভারতের সার্বভৌমত্বকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। এই পতাকাকে বাদ দেওয়া হোক ।
কাশ্মীরে তো কিছুই পরিবর্তন হয়নি। কাশ্মীরি পণ্ডিত কিংবা বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রসঙ্গ কোনও কিছুরই বদল হয়নি। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিষাক্ত সাপ এখনও হিসহিস করছে।এভাবেই দলীয় মুখপত্রে বিজেপিকে একহাত নিয়েছে শিবসেনা ।
শিবসেনার অভিযোগ, হিন্দুত্ববাদী, জাতীয়তাবাদী শিবসেনাকে শেষ করা হবে এটাই ওদের চেষ্টা। সামানাতে শিবসেনা লিখেছে, মোদী ও অমিত শাহের পাকিস্তান অধিগৃহীত কাশ্মীরে যাওয়া উচিত। তাঁদের সঙ্গে একনাথ শিন্ডেকেও নিয়ে যান। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে তাঁরা সেখানে যান। আদর্শগতভাবে বিচ্ছিন্ন গ্রুপকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান অধিগৃহীত কাশ্মীরে গিয়ে তাঁরা দেশের সামনে একটি আদর্শ তৈরি করুন।
আমেরিকার ন্য়ানসি পেলোসির তাইওয়ান সফরের প্রসঙ্গও তুলে এনেছে শিবসেনা। তাইওয়ান চিনের অংশ এই বিশ্বাসকে উড়িয়ে দিয়ে আমেরিকান তাইওয়ানে গিয়েছে। আমেরিকাকে সতর্ক করা ছাড়া চিন কী করতে পেরেছে? আর এখানে চিনের সেনা লাদাখে আমাদের মাটিতে বসে রয়েছে, আমাদের ৩৭ হাজার বর্গ কিমি জমি ওরা দখলে রেখেছে।