বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > তিন সপ্তাহের ‘যুদ্ধ’ শেষে ‘দূরত্ব ঘুচিয়ে’ কাছাকাছি এলেন মোদী-সোনিয়া

তিন সপ্তাহের ‘যুদ্ধ’ শেষে ‘দূরত্ব ঘুচিয়ে’ কাছাকাছি এলেন মোদী-সোনিয়া

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সোনিয়া গান্ধী। (ছবি সৌজন্য এএনআই)

শেষ তিন সপ্তাহে সংসদে রীতিমতো ‘যুদ্ধ’ চলেছে।

শেষ তিন সপ্তাহে সংসদে রীতিমতো ‘যুদ্ধ’ চলেছে। শেষবেলায় ‘দূরত্ব ঘুচে’ গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সোনিয়া গান্ধীর। নির্ধারিত সময়ের দু'দিন আগেই বাদল অধিবেশন শেষ করে দেওয়ার পরই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কক্ষে দু'জন উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার পাশাপাশি দুটি সোফায় বসেছিলেন মোদী এবং সোনিয়া। সেখানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেসের সাংসদ অধীর চৌধুরী, তৃণমূল কংগ্রেস, অকালি দল, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং বিজেডির নেতারা। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে ভবিষ্যতে সংসদের অধিবেশনে সকল রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতার আর্জি জানিয়েছেন লোকসভার স্পিকার।

এমনিতে এবার বাদল অধিবেশনের প্রথমদিন থেকেই পেগাসাস বিতর্ক, নয়া কৃষি আইন প্রত্যাহারের মতো বিষয় নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে সংসদ। সরকার এবং বিরোধী - উভয়পক্ষই নিজেদের দাবিতে অনড় থাকে। লোকসভায় যে কয়েকটি বিল হয়েছে, তাতে কার্যত কোনওরকম আলোচনা হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে বারবার মুলতুবি করতে হয়েছে লোকসভার অধিবেশন। সেই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের দু'দিন আগেই বাদল অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়েছে।

সেই ঘোষণার পর স্পিকারের কক্ষের বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অধীর। তিনি বলেন, ‘আজ আমি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দেখতে পেলাম। যখন সবকিছু শেষ হল, তখন উনি দেখা দিলেন। কোনওরকম আলোচনা ছাড়া বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে সরকার। কয়েক মিনিটের মধ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি) সংক্রান্ত বিল-সহ যাবতীয় বিল পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা এই সরকারের আরও একটি রেকর্ড।’ 

অন্যদিকে স্পিকার বলেন, 'আমি ব্যথিত যে এই অধিবেশনে আশানুরূপ কাজ করা যায়নি।লোকসভায় যাতে সর্বাধিক বেশি কাজ হয, সেজন্য আমি সর্বদা প্রচেষ্টা করে থাকি। যাতে জনসাধারণের সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু এবার লাগাতার বাধা দেওয়া হয়েছে। যা সমাধান করা যায়নি।'

বন্ধ করুন