ভ্যাকসিন নিয়ে দেশজুড়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যেই এবার টিকাকরণের অনিশ্চয়তা কাটাতে সময়সীমা তৈরি হবে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন তিনি। সেখানে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘টিকা সরবরাহের সময়সীমা তৈরি করা হয়েছে। এই সময়সীমা তৈরির ফলে টিকাকরণের অনিশ্চয়তা দূর হবে। এমনকী টিকাকরণের ক্যালেন্ডার নিয়ে প্রচার করা হবে।’
আজ পশ্চিমবঙ্গ–সহ ৯ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিবরা। জেলাশাসক–সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যখন সংক্রমণের হার কম থাকে তখনও কঠিন চ্যালেঞ্জ। সাধারণ মানুষকে করোনা–বিধি সম্পর্কে সচেতন রাখা প্রশাসনের চ্যালেঞ্জ। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবসময় সচেতন থাকতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘টিকার অপচয় বন্ধ করা জরুরি। ভ্যাকসিন নিয়ে রাজ্যগুলিকে ১৫ দিনের আগাম তথ্য দেবে কেন্দ্র। তৈরি হবে টিকা নীতি। গ্রামীণ এলাকায় সঠিক উদ্যোগ নিলে করোনা রোখা সম্ভব। গ্রামে পরীক্ষা বাড়াতে হবে। টিম তৈরি করে গ্রামে কাজ করতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এদিন ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর ফর্মুলা মানলে দেশে ভ্যাকসিন দিতে ১০ বছর লাগবে। এখন ৮ কোটি ৬০ লক্ষ ভ্যাকসিন চাইছি। তিন কোটি ভ্যাকসিন দিতে বলেছিলাম কমিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্র অক্সিজেন দিচ্ছে না। সব কেন্দ্রের হাতে, কোনও রাজ্যকে পয়সা দিচ্ছে না।