বিরোধীদের লাগাতার প্রশ্নে জেরবার হচ্ছিল কেন্দ্র। এই অবস্থায় ভারত-চিন সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১৯ জুন বিকেল পাঁচটার সময় সেই ভার্চুয়াল বৈঠক হবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়, ‘ভারত-চিন সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ১৯ জুন বিকেল পাঁচটার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাপতিরা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ কররেন।’
গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনার নৃশংসতায় বিরোধীদের সম্মিলিত আক্রমণে পড়েছিলেন মোদী। রাহুল গান্ধী, মহুয়া মৈত্র, পি চিদম্বরম-সহ বিরোধীদের একটাই প্রশ্ন - প্রধানমন্ত্রী চুপ কেন? একটি টুইটবার্তায় রাহুল বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন? তিনি কী লুকোচ্ছেন? যথেষ্ট হয়েছে। আমরা জানতে চাই কী হয়েছে। আমাদের সেনা জওয়ানদের হত্যার সাহস কীভাবে পায় চিন? আমাদের ভূখণ্ড দখল করার সাহস হয় কীভাবে?'
সেই আক্রমণের মধ্যেই মোদীর পুরনো টুইটগুলিকে হাতিয়ার করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, ক্ষমতায় আসার আগে সরকারের বিরুদ্ধে চুপ থাকার অভিযোগ তুলতেন? এখন তিনি নিজে নীরব কেন? কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী আবার সরাসরি প্রত্যাঘাতের পক্ষে সওয়াল করেছেন। বিরোধী শিবিরের অধিকাংশের বক্তব্য, পাকিস্তানের সীমান্ত আগ্রাসন নিয়ে যেভাবে মন্তব্য করেন মোদী এবং তাঁর পারিষদরা, চিনের বেলায় তো তার সিকিভাগও দেখা যাচ্ছে না। ২০ জন জওয়ানকে চিন হত্যা করার পরও বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি যথেষ্ট ‘নরম’।
আর সেই লাগাতার প্রশ্নের মুখে জেরবার মোদী সরকার এবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তার ফলে বিরোধীদের আক্রমণ কিছুটা হলেও ভোঁতা হবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।