ওমিক্রন নামক নয়া কোভিড ভ্যারিয়েন্টের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শঙ্কিত গোটা বিশ্ব। এই আবহে ভারতও আগেভাগে সতর্কতা অবলম্বনের পথে হাঁটতে চায়। ডেল্টার বিভীষিকা যাতে ফিরে না আসে, তাই ওমিক্রন নিয়ে আগে ভাগেই আলোতনা করতে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী।
নয়া ভ্যারিয়েন্টের আগমনে দেশ যাতে প্রস্তুত থাকে, সেই দিকে নজর সরকারের। এই আবহে মহামারী রোধ করার জন্য দেশব্যাপী টিকাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন মোদী। এই বৈঠক এমন এক সময়ে হল যখন করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। এই ভ্যারিয়েন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা এর পর থেকে এটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ওমিক্রনের ঘন ঘন মিউটেশন এবং দ্রুত সংক্রমণের হার এটিকে ভয়ঙ্কর করে তুলছে।
এই অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা-সহ বেশ কিছু দেশ থেকে ভারতে আসা যাত্রীদের জন্য কড়া বিধিনিষেধ চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে এসেও যাত্রীদের নতুন করে করোনা পরীক্ষা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অনুসারে, আজ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকটি নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ছিল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজীব গৌবা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব পিকে মিশ্র, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ এবং নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভিকে পাল উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৩ নভেম্বরও এই ধরনের একটি বৈঠক করেছিলেন মোদী।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বৎসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাওয়ে, সিঙ্গাপুর, ইজরায়েল, হংকং, ব্রিটেন-সহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশের যাত্রীদের অতিরিক্ত নিয়ম মানতে হবে। এদিকে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ভারতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা। এহেন অবস্থায় দেশের নাগরিকদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যরক্ষার স্বার্থে কঠিন পদক্ষেপ করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।