'ইতিহাস রচনা করল ভারত।' রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের পরই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়া নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির বাসভবনে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছাও জানান।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীর জয় নিশ্চিত হওয়ার পরেই টুইটারে মোদী বলেন, ‘ইতিহাস তৈরি করল ভারত। যখন দেশের ১.৩ বিলিয়ন মানুষ যখন আজাদি কা অমৃত মহোৎসব পালন করছেন, তখন পূর্ব ভারতের প্রত্যন্ত এলাকায় আদিবাসী পরিবারের এক মেয়ে আমাদের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। এই নজিরের জন্য দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন।’
১৯৫৮ সালের ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার এক সাঁওতালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী। সেখান থেকে উঠে এসে দেশের প্রথম আদিবাসী হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় দ্রৌপদীকে দুর্নিশ জানিয়েছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘দ্রৌপদী মুর্মুর জীবনকাহিনি, প্রথম জীবনে তাঁর লড়াই, ভালো কাজ এবং দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রেরণা জোগাবে। আমাদের দেশবাসীর জন্য উনি আশার আলো হিসেবে উঠে এসেছেন)। বিশেষত গরিব, প্রান্তিক এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য (আশার আলো হিসেবে উঠেছেন)।’
সেইসঙ্গে মোদীর আশা, রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দেশকে আশার আলো দেখাবেন দ্রৌপদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দ্রৌপদী মুর্মুজি দুর্দান্ত বিধায়ক এবং মন্ত্রী ছিলেন। ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে দারুণ কাজ করেছেন। আমি নিশ্চিত যে উনি রাষ্ট্রপতি হিসেবেও দারুণ কাজ করবেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ভারতের উন্নয়নের যাত্রাকে আরও শক্তিশালী করবেন।'
বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের হাতে যে সংখ্যা ছিল, তাতে নির্বাচনের আগেই কার্যত ‘ওয়াকওভার’ পেয়ে গিয়েছিলেন দ্রৌপদী। সেইসঙ্গে ‘ক্রস ভোটিংয়ের’ অ্যাডভ্যান্টেজও ছিল। সবমিলিয়ে ভোটগণনার তৃতীয় রাউন্ডেই মোট বৈধ ভোটের ৫০ শতাংশ পেরিয়ে যান ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার দ্রৌপদী। যিনি প্রথম আদিবাসী হিসেবে কমপক্ষে পাঁচ বছর রাইসিনা হিলসের বাসিন্দা হতে চলেছেন। সেই পরিস্থিতিতে মোদী বলেন, ‘দল নির্বিশেষে যে সাংসদ এবং বিধায়করা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করেছেন, তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। গণতন্ত্রের পক্ষে রেকর্ড জয় অত্যন্ত ভালো।’