ভ্যাকসিন নিয়ে অযথা ভয় পাবেন না। করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের মাধ্যমে গোটা দেশের কাছে সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন।
‘প্রথম দিন থেকেই আমি বারবার বলেছি যে আমাদের দেশীয় ভ্যাকসিনে কোনও ভয় নেই। আর করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুটি ভ্যাকসিনই ভীষণ কার্যকরী,’ শুরুতেই মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এরপরই তিনি মোদীকে ধন্যবাদ জানান। হর্ষ বলেন, 'আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি সর্বদাই বলেন যে নেতৃত্ব দিতে হলে আগে নিজেকে নজির তৈরি করতে হয়। আর সেই মতো তিনি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু হতে প্রথম ডোজটি নিলেন।' প্রধানমন্ত্রী কোভ্যাক্সিনের টিকা গ্রহণ করেন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভ্যাক্সিন নিয়ে অনেক গুজব ছড়িয়েছিল। বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরীক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও এমনটাই ঘটছিল।’
এরপরেই হর্ষ প্রধানমন্ত্রীকে আরও একবার সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে গোটা দেশকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তাই ভুয়ো খবর ও গুজবে আর কান দেবেন না।’ শুধু প্রধানমন্ত্রীই নয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং এই ভ্যাকসিন নেবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য বুকিং সারবেন তিনি। ‘আগামিকালের মধ্যেই ভ্যাকসিন নিয়ে নেব’, বললেন হর্ষ।
দল নির্বিশেষে সকল লোকসভা, বিধানসভার সদস্যদেরও করোনা টিকা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন হর্ষ। তিনি বলেন, ‘এতে সাধারণ মানুষের কাছে একটা ইতিবাচক বার্তা পৌঁছবে। তাঁরা ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহী হবেন।’ তিনি ষাটোর্ধ্ব সকলকে ও ৪৫-এর উর্ধ্বে কো-মর্বিডিটি-সহ সকলকে দ্রুত ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন।
সোমবার দিনের শুরুতেই করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে সেকথা জানান তিনি। ‘আজ এইমস-এ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটা নিলাম। বিশ্বজুড়ে করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে এত দ্রুত যেভাবে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়,’ টুইট করেন মোদী।
প্রসঙ্গত, বয়স ষাটোর্ধ্ব হলে অথবা ৪৫-এর উর্ধ্বে কোমর্বিডিটি-যুক্ত হলে ভ্যাকসিন নিতে আবেদন করতে পারবেন আপনিও। ভ্যাকসিনের আবেদন করার প্রক্রিয়া জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে - ৯ টা থেকে শুরু, করোনা টিকার পাওয়ার জন্য কীভাবে Co-Win অ্যাপে রেজিস্ট্রার করবেন?