দক্ষিণ ভারতের চার রাজ্য থেকে চারজনকে রাজ্যসভায় মনোনীত করা হল। কেরলের পিটি উষা, তামিলনাড়ুর ইলিয়ারাজা, কর্ণাটকের বীরেন্দ্র হেগাড়ে এবং অন্ধ্রপ্রদেশের কেভি বিজেয়েন্দ্র প্রসাদকে সংসদের উচ্চকক্ষে মনোনীত করা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, আবেগকে হাতিয়ার করে দক্ষিণ ভারতের মন জয়ের চেষ্টা করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
এমনিতে দীর্ঘ সময় ধরে বিজেপিকে উত্তর ভারতের দল হিসেবে বিবেচনা করা হত। পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য প্রান্তে শাখা বিস্তার করলেও দক্ষিণ ভারতে সেভাবে এখনও জমি শক্ত হয়নি বিজেপির। কর্ণাটকে ক্ষমতায় থাকলেও তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা এবং কেরালায় সেভাবে দাপট গড়ে তুলতে পারেনি।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, বিজেপিকে হিন্দিভাষী দল হিসেবে দেখা হয়। যে দলের ‘হিন্দি আগ্রাসন' ভালো চোখে নেয় না দক্ষিণ ভারত। বরং নিজেদের ভাষা-ঐতিহ্যের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। মূলত সেই কারণে তামিলনাড়ুতে সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। সেই পরিস্থিতিতে আবেগকে হাতিয়ার করেই ধীরে-ধীরে দক্ষিণ ভারতে বিজেপির জমি শক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
সেই বিষয়টি কার্যত রাজ্যসভায় মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা বিবৃতিতে ফুটে উঠেছে। মোদী সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশের’ গুণগান করে সংসদের উচ্চকক্ষ মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, '(রাজ্যসভার চারজন মনোনীত প্রার্থী দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং রাজ্যসভায় ওই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব বাড়াবে।'