কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অটল টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে রাস্তা দিয়ে সারাবছর যাতায়াত করা যাবে। আজ (শনিবার) টানেল উদ্বোধনের পর মোদী বলেন, 'ভারতের সীমান্ত পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে নয়া শক্তি দেবে অটল টানেল। বিশ্বমানের সীমান্ত যোগাযোগের উদাহরণ হয়ে থাকবে এটি।' একনজরে দেখে নিন সেই অত্যাধুনিক টানেলের কয়েকটি আকর্ষণীয় তথ্য -
২০০০ সালের ৩ জুন সেই টানেল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। ২০০২ সালের ২৬ মে টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে সেই টানেলের নাম ছিল রোহতাং টানেল। গত বছর ২৫ ডিসেম্বর সেই নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় 'অটল টানেল'।
টানেলটি হিমাচল প্রদেশের মানালিকে স্পিতি-লাহউল উপত্যকার সঙ্গে যুক্ত করছে। মানালি এবং স্পিতি-লাহউল উপত্যকার সংযোগকারী সেই টানেলের ফলে লেহ যেতে চার-পাঁচ ঘণ্টা কম সময় লাগবে। দূরত্ব কমবে প্রায় ৪৬ কিলোমিটার।
দক্ষিণ দিকে সেই টানেলে ঢোকার রাস্তা মানালি থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৩,০৬০ মিটার। টানেলের উত্তরমুখী প্রবেশপথ লাহউল উপত্যকার তেলিং গ্রামের কাছে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ৩,০৭১ মিটার।
হিমালয়ের পির পাঞ্জালে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ৯.০২ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি তৈরি করা হয়েছে। তাতে বিভিন্ন অত্যাধুনিক সুবিধা আছে।
অশ্বক্ষুরাকৃতি বিশিষ্ট সেই টানেলে একটি টিউব আছে। দুটি লেন রয়েছে। রাস্তার দৈর্ঘ্য আট মিটার। রাস্তার সঙ্গে টানেলের মাথার মধ্যে ফারাক আছে ৫.৫২৫ মিটারের। অর্থাৎ টানেলের উচ্চতা ৫.৫২৫ মিটার।
সেই টানেল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে প্রতিদিন ৩,০০০ গাড়ি এবং ১,৫০০ ট্রাক চলাচল করতে পারবে। গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার।
টানেলটি ১০.৫ মিটার চওড়া। মূল টানােলর মধ্যে আছে ৩.৬ বাই ২.২৫ মিটারের একটি টানেল। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সেখান দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাওয়া হবে।
যে কোনও জরুরি পরিস্থিতির জন্য টানেলের প্রতি ১৫০ মিটারে ফোনের সংযোগ, সিসিটিভি, প্রতি ৬০ মিটারে আগুন নেভানোর জন্য জলের সংযোগ তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি থাকছে ‘অটোমেটিক ইনসিডেন্ট ডিটেকশন সিস্টেম’। যা সর্বদা গাড়ি চলাচলের উপর নজর রাখবে এবং কোনও দুর্ঘটনা হলে চিহ্নিত করবে।