দেশজুড়ে অক্সিজেন প্রাপ্যতার বাড়ানোর উপর জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে হাসপাতাল কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ, অক্সিজেন প্ল্যান্টের রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিলেন। যে ১,৫০০ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে, তার কাজ দ্রুত শেষ করতেও বললেন। পিএম কেয়ার্স তহবিলের আওতায় কয়েকটি প্ল্যান্টও গড়ে তোলা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে শুক্রবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মোদী। তাতে ছিলেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পিকে মিশ্র, ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গৌবা-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এমনিতেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেশজুড়ে অক্সিজেন এবং হাসপাতালের বেড সংখ্যার আকাল দেখা গিয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ ওষুধও মিলছিল না। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আগে দেশজুড়ে কী কীর পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা মোদীকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আধিকারিকরা মোদীকে জানিয়েছেন যে দেশজুড়ে ৮,০০০ জন কর্মীকে প্রশিক্ষিত করা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে অক্সিজেন প্ল্যান্ট তৈরির জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, তা ঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা, তা মোদীকে জানানো হয়। দেশের ৪০০,০০০ বেশি অক্সিজেন-যুক্ত হাসপাতালের জন্য ১,৫০০ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা। দ্রুত সেই প্ল্যান্ট চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। সেজন্য রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে বলেছেন। একইসঙ্গে ‘স্থানীয় এবং জাতীয় স্তরে সেই প্ল্যান্টগুলির কাজের মাত্রা এবং কাজপ্রণালীতে নজর রাখার’ জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
এমনিতে গত এপ্রিলে পিএম কেয়ার্সে ফান্ডের টাকায় দেশজুড়ে ৫৫১ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। সেই সময় দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ লাগামছাড়া হয়েছিল। তারও আগে এরকম ১৬২ টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানোর ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র।