রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে প্রথমবার কথাপোকথন হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মার্কিন রাষ্ট্রপতিকে যত দ্রুত সম্ভব সস্ত্রীক ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে কথা হয়। ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও যৌথ কৌশলগত স্বার্থের ভিতের ওপর সুদৃঢ় ভাবে দাঁড়িয়ে, সেটাও উঠে আসে আলোচনায়।
নয়া ইনিংসের জন্য মোদী শুভেচ্ছা দেন বাইডেনকে ও একযোগে ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে নয়া উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন। আন্তর্জাতিক বিশ্ব যাতে নিয়ম কানুন মেনে চলে ও ইন্দো-প্যাসিফিক যাতে মুক্ত ও সকলের জন্য খোলা থাকে তার জন্য সমমনস্ক দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করার কথাও উঠে এসেছে। এই প্রসঙ্গে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের যে কোয়াড তৈরি হয়েছে, সেটাকে আরও শক্তিশালী করার কথা হয়।
যেভাবে পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে সেটা আটকানোর জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর দুই দেশ ও সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাইডেন যে ফের প্যারিস চুক্তিতে নাম লিখিয়েছেন, সেটার প্রশংসা করেন মোদী। আমেরিকা যে পরিবেশ বিষয়ক শীর্ষ আলোচনা আয়োজন করবে সেটাতেও প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন।
করোনাকালে কোভিডের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও সন্ত্রাসবাদকে মেটানোর জন্য দুই দেশ যৌথবদ্ধ ভাবে কাজ করবে বলে জানান দুই নেতা। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে ঠিক করে চলে সেই নিয়েও বিশেষ বার্তা দেন জো বাইডেন।