পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীরণ অঞ্চল তছনছ হয় ইয়াসের প্রভাবে। সেই পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এসে সরকারি বৈঠকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে যোগই দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার পাল্টা কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে ময়দানে নামলেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এবং গুজরাতের কংগ্রেস নেতা ভরত সোলাঙ্কি।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর্যালোচনা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় যোগ দেননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় মমতার দায়বদ্ধতা নিয়েও। সেই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুললেন বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এবং গুজরাতের কংগ্রেস নেতা ভরত সোলাঙ্কি।
ভরতের প্রশ্ন, ইয়াসের পর্যালোচনা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে ডাকা হলেও ঘূর্ণিঝড় তাউটের পর ক্ষতিগ্রস্ত গুজরাতের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক পরেশ ধনানিকে কেন পর্যালোচনা বৈঠকে ডাকা হল না? রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় বিজেপি থাকাতেই কি এমন দ্বিচারিতা?
অন্যদিকে তেজস্বী যাদবের খোঁচা, ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে বাংলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতাকে ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। তা দেখে ভাল লাগছে। যেসব রাজ্যে বিরোধী দলনেতার আসনে বিজেপির প্রতিনিধিত্ব নেই, সে সব রাজ্যেও কি এই ধরনের বৈঠকে বিরোধী দলনেতাদের ডাকা হবে?