বাংলায় এখন বিধানসভা নির্বাচন চলছে। প্রথম দফা সবে মিটেছে। দ্বিতীয় দফা ১ এপ্রিল। তাই প্রধানমন্ত্রীর মাসিক মন কি বাত বেতার অনুষ্ঠানেও তার প্রভাব পড়ল। এই অনুষ্ঠানে কৃষিকাজের পাশাপাশি বিকল্প হিসাবে মৌমাছি পালনে জোর দিলেন নরেন্দ্র মোদী। এখানেই থেমে থাকলেন না। বরং এই বিষয়ে রাজ্যের দুই প্রান্ত–দার্জিলিং ও সুন্দরবনের প্রশংসা করলেন তিনি। দ্বিতীয়–তৃতীয় দফায় রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভোট। আর পঞ্চম দফায় রয়েছে দার্জিলিংয়ের ভোট। এই পরিস্থিতিতে বেতার অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ওখানকার মানুষের উপর প্রভাব ফেলতে চাইলেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে অনুষ্ঠানের শুরুতেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন তিনি। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের জীবনেই প্রয়োজন আধুনিকতার। কৃষিকাজে পুরনো পদ্ধতির পাশাপাশি নতুন ও আধুনিক পদ্ধতি আয় বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করছে। এইরকমই একটি বিকল্প উপায় হল মৌমাছি প্রতিপালন। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে দুর্গম একটি পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত এক গ্রামের বাসিন্দারা মৌমাছি প্রতিপালন করেন ও মধু চাষ করেন। আর সুন্দরবনের মধুও তো বিশ্ববিখ্যাত। দেশের গণ্ডি পার করে সেই মধু বিদেশেও পৌঁছে যায়। তাই আমি কৃষকভাইদের বলছি যে কৃষিকাজের পাশাপাশি আপনারা মৌমাছি প্রতিপালনও করুন। এতে কম পরিশ্রমেই বেশি আয়ের সুযোগ পাবেন।’
এই বিষয়ে নিজের রাজ্য গুজরাতের প্রসঙ্গও টেনে এনে প্রধানমন্ত্রী জানান, কয়েক বছর আগে তিনি বানাসাকাটায় একটি সভায় মৌমাছি প্রতিপালনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। আজ সেই চাষিদের উৎপাদিত বানাসা মধুই বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে ও লক্ষাধিক টাকা আয় হচ্ছে। কেবল মধুই নয়, মৌচাক থেকে যে মোম পাওয়া যায়, সেগুলিও ওষুধ, কসমেটিক্স–সহ নানা পণ্য উৎপাদনে বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। তাই তিনি চান, কৃষকরা নিজেদের জমিতে চাষের পাশাপাশিই মৌমাছি প্রতিপালনও করুক।