‘মন কি বাত' অনুষ্ঠানে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এটি মাসিক রেডিয়ো অনুষ্ঠানের ৬৮ তম পর্ব।
মোদীর বক্তৃতা:
১) বেশিরভাগ পরিবেশবান্ধব গণেশ মূর্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অনলাইনে হয়েছে। সেই সময়ে দেশবাসী যে সংযম দেখিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।
২) কৃষকের শক্তি ও পরিশ্রমেই তো আমাদের সমাজ চলে। আমাদের অন্নদাতা তাঁরা। আমাদের কৃষকরা করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতেও নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়েছেন। গতবারের তুলনায় এবার ৫০ শতাংশ বেশি খারিফ শস্য রোপণ করা হয়েছে।
৩) করোনাভাইরাস লকডাউনের সময় আমি শিশুদের বিষয়ে ভাবছিলাম এবং বিশ্বে ভারতকে খেলনার হাবে পরিণত করার বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। জাতীয় শিক্ষানীতিতেও খেলনার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। খেলার সময়, খেলনা তৈরি-সহ ইত্যাদির সঙ্গে পড়াশোনার বিষয়টি পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৪) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, সেরা খেলনা হল অসম্পূর্ণ খেলনা। যা বাচ্চারা খেলতে খেলতে নিজেরাই তা সম্পূর্ণ করবে। তিনি বলেছিলেন, খেলনা এমন হবে, যা বাচ্চাদের সৃজনশীলতার উপর জোর দেবে।
৫) স্টার্ট আপের উদ্দেশে মোদীর আবেদন - ‘টিম আপ ফর টয়েজ।’ খেলনার জন্য ভোকাল ফর লোকাল হতে হবে।
৬) 'লেট দ্য গেমস বিগিন' - দেশে ও দেশের জন্য কম্পিউটার গেম তৈরির আহ্বান জানালেন মোদী।
৭) সেপ্টেম্বরে পুষ্টি মাস পালন করা হবে। নেশনস (দেশ) ও নিউট্রিশন (পুষ্টি) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাতে আমজনতার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ক্ষেত্রেও পুষ্টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন মোদী।
৮) জাতীয় কৃষিকোষ তৈরি করা হবে। তাতে কোন জেলায় কী শস্য পাওয়া যায় ও তার পুষ্টিগত গুণ থাকবে।
৯) আমাদের এরকম কত সুরক্ষা-কুকুর আছে, তারা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। তারা বিভিন্ন সুরক্ষা বাহিনীতে যুক্ত আছে। এখন আমাদের দেশের বিভিন্ন সুরক্ষা বাহিনী কুকুরদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। ভিদা এবং সোফির কথাও উল্লেখ করেন মোদী। যাঁদের ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে বিশেষ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
১০) দেশের এমন কোনও প্রান্ত নেই, যেখানে কোনও স্বাধীনতা সংগ্রামী নেই। যাঁরা দেশের জন্য স্বাধীনতার জীবন উৎসর্গ করেছেন।
১১) করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা তখনই জিতব, যখন আপনারা সুস্থ থাকবেন। দু'গজের দূরত্ব মেনে চলবেন।