গুজরাটের মৌরবি সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় সোমবার রাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি, রাজ্যের ডিজিপি আশিস কুমার ও মুখ্যসচিব পঙ্কজ ভাটিয়া। গান্ধীনগরের রাজভবনে এই বৈঠক বসেছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয় এই বৈঠকে। উদ্ধারকাজ এবং বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয় মোদীর কাছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে গতকাল সর্দার প্যাটেলের জন্মবার্ষীকি উপলক্ষে স্ট্যাচু অফ ইউনিটির সামনে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, ‘আমি এখন একতা নগরে থাকলেও আমার মন পড়ে আছে মৌরবির আক্রান্তদের সঙ্গে। আমার জীবনে খুব কমই এমন ব্যথা অনুভব করেছি আমি। একদিকে বেদনায় ডুবে থাকা হৃদয়, অন্যদিকে কর্তব্যের পথ।’ মোদী বলেন, ‘দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। এই দুঃসময়ে সরকার সব রকম ভাবে শোকাহত পরিবারের পাশে আছে। গুজরাট সরকার গতকাল থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। কেন্দ্রও রাজ্য সরকারকে সব রকম সাহায্য করছে।’
জানা গিয়েছে,অজন্তা ঘড়ির প্রস্তুতকারক ওরেভা গ্রুপকে এই ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল মৌরবি পুরসভা। মৌরবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সন্দীপ সিং ঝালা সাংবাদিকদের বলেন,‘১৫ বছরের জন্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। চলতি বছরের মার্চ মাসে এটি সংস্কারের জন্য জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খোলার জন্য কোম্পানিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।’ পুর আধিকারিক আরও বলেন,সংস্কার কাজে কোম্পানিটি কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।