বঙ্গ–বিজেপির সাংসদদের হতাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী, অধরা থাকল নালিশ ঠোকা

তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সংসদ ভবনে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়ার সঙ্গে।

কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা।

খুব ঢাকঢোল পিটিয়ে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে নালিশ ঠুকতে গিয়েছিলেন বঙ্গ–বিজেপির সাংসদরা। কিন্তু দিনের শেষে অশ্বডিম্ব প্রসব হলো। কারণ প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ব্যস্ত থাকায় বাংলার বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে দেখাই করলেন না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সংসদ ভবনে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে দেখা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়ার সঙ্গে। ভুয়ো ভ্যাকসিন থেকে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে সেখানে নালিশ ঠুকে ক্ষান্ত হলেন তাঁরা।

মঙ্গলবার কনস্টিটিউশন ক্লাবে রাহুল গান্ধীর প্রাতঃরাশের বৈঠকের ডাকে উপস্থিত হন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা। এমনকী ১৪টি রাজনৈতিক দলের নেতারা সংসদে বিরোধী শিবিরের রণকৌশল তৈরি করেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোনো হচ্ছে। এদিন সংসদ ভবনে বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। বৈঠকে পৌরহিত্য করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, দলীয় সাংসদদের তিনি বলেন, অধিবেশন ভেস্তে দেওয়ার বিরোধীদের কৌশল বানচাল করতে হবে। দলের সাংসদদের উপস্থিতি প্রথম জরুরি। তবে তিনি বাংলার সাংসদদের সঙ্গে সেভাবে কথা বলেননি। বরং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

আরও একটি সূত্রে খবর, এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা সংসদে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি থাকুন। পেগাসাসের মতো ভুয়ো ইস্যু নিয়ে লড়ছে বিরোধীরা। আসল উদ্দেশ্য সংসদ অধিবেশন বসতে না দেওয়া। আমাদের উচিত বিরোধীদের এই কৌশলকে বানচাল করা। সেই লক্ষ্যে আমাদের এগোতে হবে। বাদল অধিবেশন নিয়েই নানা আলোচনা করলেও বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সময় দেননি সাংসদদের। যা নিয়ে হতাশ বঙ্গ–বিজেপির সাংসদরা।