নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটুর প্রয়াণে শোকাহত গোটা বিশ্বে তাঁর অগণিত শুভানুধ্যায়ী থেকে অনুরাগীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার এই আর্চবিশপ বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অন্যতম নাম ছিলেন। এছাড়াও সমলিঙ্গের সমানাধিকারের প্রশ্নেও তাঁর অবদান অপরিহার্য। তিনি এই আন্দোলনের সঙ্গে বহুদিন যুক্ত ছিলেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, আর্চবিশপের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেন।
এক টুইট বার্তাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন, আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু ' বিশ্বের অগণিত মানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন। মানবিক মর্যাদা ও সাম্যের প্রতি তাঁর দেওয়া বিশেষ গুরুত্ব চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমি তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত, এবং তাঁর সমস্ত ভক্তদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। তাঁর আত্মা শান্তি কামনা করি।'
প্রসঙ্গত, ডেসমন্ড টুটুর প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ বহু বিশিষ্ট রাজনীতিবিদরা। উল্লেখ্য, ৯০ বছর বয়সে রবিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ডেসমন্ড টুটু। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী অহিংসা আন্দোলনে তাঁর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। ১৯৯০ সালের শেষ দিকে তাঁর শরীরে মারণ ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর থেকে তিনি গত কয়েক বছর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
উল্লেখ্য, অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি নিজের লক্ষ্য অবিচল ছিলেন। আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর প্রয়াণে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামফোসা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। রামফোসা নিজের শোকবার্তায় টুটুকে 'অসামান্য দেশপ্রেমিক' বলে বর্ণনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে নোবেলজয়ী ডেসমন্ড টুটু প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত থাকলেও, এদিন তাঁর মৃত্যুর কারণ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়নি ।