সম্মিলিত ভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে ভারত নিজের ‘অটল প্রতিশ্রুতি’র বিষয়টি ব্যক্ত করবে জি২০-র মঞ্চে। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে পা রাখার আগে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর কথায়, ২০২৩ সালে জি২০-র সভাপতি হিসেবে ভারত সবার জন্য সমান বৃদ্ধি এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ওপর জোর দেবে।
এদিন মোদী বলেন, ‘জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমি ভারতের কৃতিত্বগুলি তুলে ধরব। পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায করার ক্ষেত্রে আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করব।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সি 'বসুধৈব কুটুম্বকম' বা 'এক পৃথিবী এক পরিবার এক ভবিষ্যত' থিমের ওপর ভিত্তি করে হবে। এটা সকলের জন্য ন্যায়সঙ্গত বৃদ্ধি এবং সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের বার্তাকে তুলে ধরবে।’
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আজই ভারত ছেড়ে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই জি২০-র সভাপতিত্ব গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মোট ৪৫ ঘণ্টা তিনি ইন্দোনেশিয়ায় থাকবেন। সেই সময়কালে তিনি পরপর কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর অনুযায়ী, ৪৫ ঘণ্টায় ২০টি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মোদী। জি২০ সম্মেলন শেষে ১৬ নভেম্বর দেশে ফিরবেন মোদী।
জানা গিয়েছে, জি২০ সম্মেলনের তিনটি সেশনে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে মিলে একাধির অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মোদী। তাছাড়া প্রায় ১০ রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বসতে পারেন মোদী। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসরত ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে দেখা করবেন মোদী। এই সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইডোডো প্রতীকীভাবে মোদীর কাছে জি২০ প্রেসিডেন্সি হস্তান্তর করবেন।
উল্লেখ্য, এবারের সম্মেলনে খাদ্য ও জ্বালানি সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্য ও ডিজিটাল খাতে পরিবর্তন নিয়ে কথা বলবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কাত্রা জানান, আন্তর্জাতিক স্তরে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রভাব, বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তন মতো বিষয় আলোচিত হবে ১৭তম জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে।