দেশের অর্থনীতির বেহাল দশার অভিযোগ তুলে নানা সময় নানা কথা বলেন বিরোধীরা। তবে এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের জিডিপির কথা তুলে ধরলেন। ভারতীয় অর্থনীতি কতটা শক্তপোক্ত সেটাই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কতটা শক্ত ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে ভারতের অর্থনীতি সেটাই তুলে ধরলেন তিনি। জিডিপি অর্থাৎ গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, Q2-তে জিডিপি গ্রোথ ভারতীয় অর্থনীতির শক্তি ও সহনশীলতাকে সূচিত করছে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এটা পরীক্ষিত। আরও সুযোগ তৈরির ক্ষেত্রে কাজ করে যাব আমরা, এব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। দ্রুত দারিদ্রতাকে দূর করব আমরা। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা যাতে আরও সহজতর হয় সেই উন্নয়ন আমরা করব।
মূলত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ( দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক) এই কোয়ার্টারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সমস্ত হিসাবকে উলটে দিয়েছে ভারতের জিডিপি। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেকেন্ড কোয়ার্টারে ভারতের জিডিপি ৭.৬ শতাংশে গিয়েছে।
কার্যত ভারতীয় অর্থনীতির কতটা শক্তি ধরে সেটাই উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই সময়কালের মধ্য়ে ভারতের অর্থনীতিতে জিডিপি ৭.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে পরিসংখ্য়ান বলছে ভারতের জিডিপির যে গ্রোথ তা দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে ভারত ক্রমে বৃহত্তর অর্থনীতির দেশ হিসাবে পরিগণিত হবে। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যে রকেট গতিতে হয়েছে তার ইঙ্গিত ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।
এদিকে জিডিপির নিরিখে চিনের থেকেও এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। দেখা যাচ্ছে। এদিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই ত্রৈমাসিক হিসাবে বলা হচ্ছে চিনের জিডিপির গ্রোথ ছিল ৪.৯ শতাংশ।
তবে ভারতের এই অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য প্রধানত বিশেষ কয়েকটি বিষয়কে উল্লেখ করা হচ্ছে। মিনিস্ট্রি অফ স্ট্যাটিক্সের তরফে যেটা দাবি করা হচ্ছে, উৎপাদন ক্ষেত্রে, খনি থেকে খনিজ পদার্থ উত্তোলনের ক্ষেত্রে ও সার্ভিস সেক্টরে ভারতের অর্থনীতি একেবারে চড়চড় করে এগিয়েছে।
এদিকে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ত্রৈমাসিক জিডিপির হিসাবে প্রকাশ করা হবে।