বিধানসভা নির্বাচনের নিঘণ্ট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তা সত্বেও এবার করোনা ভ্যাকসিনের ডিজিটাল শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ঘিরে উত্তাল হল গোটা দেশ। করোনা ভ্যাকসিনের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি বসানোয়, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে বলে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রের দাবি, সব ধরনের সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকে। এক্ষেত্রেও তাই রয়েছে।
এই বিষয়টি মানতে নারাজ বিরোধীরা।কংগ্রেস শাসিত পঞ্জাবের এক মন্ত্রী কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘নিজেকে মেলে ধরার একটা অশ্লীল প্রচেষ্টা করা হয়েছে।’ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়ান এই ঘটনার নিন্দা করে টুইট করেছেন।তিনি এও জানিয়েছেন, নিজেকে প্রচার করার এটা একটা ঘৃণ্য রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ডেরেকের অভিযোগ, ‘তাঁর ছবি, নাম এবং বার্তা যা শংসাপত্রে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে তাতে নিজের পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, যাঁরা এই ভ্যাকসিন তৈরি করছেন তাঁদের কৃতিত্বও চুরি করা হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, সারা দেশে দ্বিতীয় দফার করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। যার প্রথম পর্যায়ের ভ্যাকসিন, সোমবার থেকে দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পের উদ্বোধেন ঘিরেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এই ডিজিটাল ভ্যাকসিনেশন শংসাপত্র কেন্দ্রের কো–উইন অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেই এই শংসাপত্রের নীচে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দেওয়া ছবি ঘিরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। এই বিষয়ে পাল্টা রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘অভিযোগটি নিশ্চিতভাবে দেখছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তারা। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও নৈতিক অধিকার নেই এই অভিযোগ তোলার। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিরও অপব্যবহার হয়।’