ভারত-মার্কিন বাণিজ্য পরিষদের বৈঠকে অংশ নিয়ে এদিন লগ্নির জন্য আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন যে দুই গণতন্ত্র স্বাভাবিক পার্টনার। ভারতে লগ্নি করার এর চেয়ে ভালো সময় আসেনি বলেও জানান মোদী। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের অংশবিশেষ।
ভবিষ্যতের জন্য মানবকেন্দ্রিক অ্যাপ্রোচ নিয়ে এগোতে হবে। শুধু কাজে নিপুণ হওয়ার প্রয়োজন নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু কীভাবে কোনও সংকটে রক্ষা করা যায় নিজেকে, সেটাও দেখতে হবে।
ঘরোয়া অর্থনীতির ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করতে হবে। আন্তনির্ভর ভারত গড়তে চাই আমেরিকার সহযোগিতা।
সারা বিশ্ব ভারতে লগ্নি করতে চায়। এর কারণ ভারতে সুযোগ, বিকল্প আছে, কোনও বাধা নেই। গত ছয় বছরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে অর্থনীতির সংস্কার করে সেটাকে আরও খুলে দেওয়ার জন্য।
ভারত হচ্ছে সুযোগের দেশ। এখন শহুরে মানুষের চেয়ে গ্রামে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে ৫জি, বিগ ডেটা অ্যানালিটিক্স, কোয়ান্টাম কমপুটেশন, ব্লক চেন ও ইন্টারনেট অফ থিংসের কাজ হচ্ছে।
কৃষিক্ষেত্রে আমূল সংস্কার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যক্ষেত্র প্রতিবছর বাড়ছে ২২ শতাংশ করে। টেলি মেডিসিন ও মেডিকাল প্রযুক্তিতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে ভারতীয় সংস্থারা।
ভারত ক্রমেই গ্যাস ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে, এতে মার্কিন সংস্থাদের বড় লগ্নি করার সুযোগ আছে।
এই মুহূর্তে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে পরিকাঠামো নির্মাণের। ভারতে এসে রাস্তা, বাড়ি, বন্দর বানানোয় আমাদের সঙ্গে কাজ করুন।
আগামী আট বছরে দ্বিগুণ হতে পারে বিমানে যাত্রীর সংখ্যা। হাজার হাজার প্লেনের বরাত দেবে সংস্থারা।
প্রতিরক্ষা ও বিমানেও আপনারা লগ্নি করতে পারেন। এফডিআই নীতি লঘু করা হয়েছে, ডিফেন্স করিডর তৈরী করা হয়েছে।
বিমায় লগ্নি করতে পারেন কারণ সেখানেও এফডিআইয়ের ঊর্ধ্বীসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বাণিজ্য করার সুবিধার রেটিংয়ে ক্রমাগত উন্নতি করছে ভারত।
প্রতি বছরই ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি পুঁজি বাড়ছে। গত বছর তার আগের বছরের তুলনায় এফডিআই বেড়েছে ২০ শতাংশ।
ভারতের উন্নতি মানে এমন এক দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করার সুযোগ যাকে আপনারা বিশ্বাস করতে পারেন, একই সূত্রে বিশ্বব্যাপী কাজে বৃদ্ধি, এমন একটি বাজারে লগ্নি করার সুযোগ যেখানে ধাপে ধাপে বাড়াতে পারবেন ব্যবসা।
আমেরিকার মতো পার্টনার খুব কমই আছে। দুই গণতন্ত্রের অনেক অভিন্ন আদর্শ আছে। এই দুই দেশ হল স্বাভাবিক পার্টনার।
এর আগেও ভারত-মার্কিন সম্পর্ক অনেক উচ্চতা ছুঁয়েছে। কিন্তু এবার করোনা জর্জরিত বিশ্বকে দুই পায়ে খাড়া করতে বড় ভূমিকা নিতে পারে এই সম্পর্ক