সোমবার সন্ধ্য়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেখা করলেন ইউনাইটেড স্টেটস ডিরেক্টর অফ ন্যাশানাল ইনটেলিজেন্স তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে তিনি আগেই দেখা করেছিলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খলিস্তানি টেরর গ্রুপ শিখ ফর জাস্টিস ও তার প্রতিষ্ঠাতা গুরপাতোয়ান্ত পান্নুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে মোদীর সঙ্গে মিটিংয়ে দুজনেই উপহার বিনিময় করেন। মার্কিন ইনটেলিজেন্স চিফের হাতে প্রয়াগরাজের সঙ্গমের গঙ্গাজল ভর্তি ঘট তুলে দিলেন। এনিয়ে দুমাসে দুবার মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন তুলসী গ্যাবার্ড। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মোদী যখন ওয়াশিংটনে গিয়েছিলেন তখন তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল। এবার ভারতে তিনি দেখা করলেন তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে।
সেই সময় তিনি তুলসী গ্যাবার্ডের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, সাইবার সংক্রান্ত যে থ্রেট রয়েছে সেটাকে প্রতিহত করা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। ভারত ও মার্কিন সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে তাঁরা আলোচনা করেছিলেন।
তবে এদিন মোদীর সঙ্গে বসার আগে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তুলসী। মূলত দুই দেশের মধ্য়ে গোয়েন্দা সংক্রান্ত তথ্য আদানপ্রদান,, ভারত- মার্কিন অংশীদারিত্বকে আরও উন্নত করা সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। তবে রাজনাথ সিং ও অজিত ডোভাল দুজনেই খলিস্তানি সন্ত্রাসবাদ ইস্যুটা তুলেছিলেন। আমেরিকার মাটিতে বসে ভারতবিরোধী শক্তি কীভাবে সক্রিয় হচ্ছে সেই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তিনি। খবর এনডিটিভি সূত্রে।
এদিকে রাজনাথ সিং লিখেছেন, 'নয়াদিল্লিতে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা অধিকর্তা মিস @TulsiGabbard সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুশি। ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার লক্ষ্যে আমরা প্রতিরক্ষা ও তথ্য ভাগ করে নেওয়া সহ বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
রবিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকে অংশ নেন তিনি। রাইসিনা সংলাপে যোগ দিতে গ্যাবার্ড ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম উচ্চপদস্থ আধিকারিক যিনি ভারত সফরে এসেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের পরে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতি থেকে আলোচনায় ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'উভয় নেতা জোর দিয়েছিলেন যে কৌশলগত সুরক্ষা দুই দেশের মধ্যে বিস্তৃত আন্তর্জাতিক কৌশলগত সহযোগিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসাবে রয়ে গেছে। তারা সামরিক মহড়া, কৌশলগত সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা শিল্প সরবরাহ শৃঙ্খলের সংহতকরণ এবং বিশেষত সামুদ্রিক ক্ষেত্রে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন।