Nikkei Asia-কে সাক্ষাৎকার দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতের একেবারে নিকটতম প্রতিবেশী চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জটিল সম্পর্কের প্রসঙ্গও টেনে আনলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিনের সঙ্গে সীমান্ত সম্পর্ক প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন মোদী। ভারত যে তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষায় একেবারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এটাও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বেশ জোরের সঙ্গে জানিয়ে দেন নিউ দিল্লি সার্বভৌমত্ব, আইনের শাসন ও শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা মেটানোর উপর জোর দিচ্ছে।
এদিকে সেই ২০২০ সালে ভারত চিন সীমান্তে সংঘর্ষের পর থেকে ভারত ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছিল। এরপর নানাভাবে সেই সম্পর্কের উন্নতির জন্য় চেষ্টা করা হয়েছে।
সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা রক্ষার কী উপযোগিতা সে সম্পর্কে জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়ে দেন ভারত ও চিনের মধ্য়ে ভবিষ্যতের উন্নতি পারস্পরিক শ্রদ্ধার মাধ্যমে হওয়া সম্ভব। পারস্পরিক সংবেদনশীলতা, পারস্পরিক স্বার্থরক্ষার উপর হওয়া এটা সম্ভব। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, এই দুপক্ষের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে গোটা রিজিয়নের পাশাপাশি সার্বিকভাবে গোটা বিশ্বজুড়ে লাভ হবে।
সেই সঙ্গেই পাকিস্তানের দায়িত্ব সম্পর্কেও তিনি মন্তব্য করেন। মোদী দুই দেশের মধ্য়ে স্বাভাবিক ও প্রতিবেশী সুলভ সম্পর্কের কথা জানান। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, জঙ্গিবাদ থেকে মুক্ত হওয়াটা পাকিস্তানের দরকার। স্বাভাবিক সম্পর্ক রক্ষার জন্য় দায়িত্ব নিন। আর সেই প্রসঙ্গে যাতে পাকিস্তান উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয় সেকথা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
Nikkei Asia মোদীকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ থেকে মুক্ত হওয়া পাকিস্তানের পক্ষে অত্যন্ত দরকার। এব্যাপারে পাকিস্তানের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এদিকে জি৭ মিটিং হবে জাপানে। সেখানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার আগে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তথা প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতি ভারতের মনোভাবটা জানিয়ে দিলেন মোদী। শান্তি রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বার্তা এক্ষেত্রে অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup