পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় বিভিন্ন সময় বাংলাতে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবসময়ে হয়তো সঠিক উচ্চারণের সঙ্গে বলতে পারেননি, কিন্তু তার প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকে। বাংলার ভোটে বাংলায় কথা বলবেন সেটা প্রত্যাশিত। কিন্তু রাষ্ট্রসংঘে গিয়েও যে বাংলায় কথা বলবেন মোদী, সেটা আঁচ করা শক্ত ছিল। কিন্তু তাই করলেন তিনি। কবিগুরুর কথাতেই বক্তব্যে ইতি টানলেন প্রধানমন্ত্রী।
শুভ কর্মপথে ধর' নির্ভয় গান। সব দুর্বল সংশয় হোক অবসান
মূলত রাষ্ট্রসংঘের প্রতি মোদীর এই আহ্বান। রাষ্ট্রসংঘকে প্রাসঙ্গিক করে রাখতে হলে নিজেদের সংস্কার করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। পরিবেশ সংকট থেকে কোভিড, সন্ত্রাসবাদ থেকে আফগানিস্তান সমস্যা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছে যার উত্তর নেই। রাষ্ট্রসংঘকে দেখতে হবে যাতে সারা বিশ্বে আইন কানুন মানা হয়। একই সঙ্গে কোথা থেকে কোভিড এল, কীভাবে ব্যবসা করার সহজতা মাপার সূচককে প্রভাবিত করার চেষ্টা হল, কীভাবে অনেক দেশ সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করে, সেই প্রশ্নও করেন তিনি।
আফগানিস্তানের ভূমিকে যাতে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহার না করা যায়, সেই জন্য সতর্ক করে দেন মোদী। একই সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিকে নিয়ম রক্ষার কথাও বলেন তিনি। অর্থাৎ নাম না করে পাকিস্তান ও চিনকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারের বার্তাও দেন তিনি। তাঁর কথায় উঠে এসেছে চাণক্য ও দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ। কিন্তু সমাপতনে সেই কবিগুরুর কথাকেই পাথেয় করে নিলেন নরেন্দ্র মোদী। গুজরাতের চাওয়ালার প্রসঙ্গ দিয়ে শুরু করা বক্তব্য সম্পন্ন হল সোনার বাংলায়।