চূড়ান্ত গোপনীয়তা! সরকারের শীর্ষ স্তরের কয়েকজন হাতেগোনা ব্যক্তি ছাড়া ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পাননি সেই পরিকল্পনার কথা। যতক্ষণে জানাজানি হল, ততক্ষণে লেহ'তে নেমে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে রয়েছেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং ভারতীয় সেনাপ্রধান এম এম নারাভানে।
শুক্রবার লেহ সফরে আসার কথা ছিল জেনারেল রাওয়াতের। তার আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ মুহূর্তের খুঁটিনাটি নিয়ে জেনারেল রাওয়াতের সঙ্গে আলোচনা সারছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, লাদাখ সেক্টরে যাবেন মোদী। পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) আগ্রাসন মোকাবিলায় ভারতের তিন বাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন এবং চারটি সংঘাতের পয়েন্টে উত্তেজনা প্রশমন ও সেনা সরানোর প্রস্তাবিত প্রক্রিয়ার বিশদে বুঝবেন। ২০১৭ সালে ডোকলাম বিবাদের সময়েও এই মোদী, ডোভাল এবং জেনারেল রাওয়াতের মস্তিষ্ক একসঙ্গে কাজ করেছিল।
সেইমতো শুক্রবার সাতসকালে লেহ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। আপাতত লাদাখের নিমুর সীমান্ত লাগোয়া একটি ফরোয়ার্ড পোস্টে রয়েছেন তিনি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১,০০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এলাকাটি। সূত্রের খবর, কোর কমান্ডার এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন মোদী। গালওয়ানে আহত জওয়ানদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তিনি। তারপর সন্ধ্যায় তিনি দিল্লি ফিরে যাবেন বলে সূত্রের খবর।