গত ১৫ মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে ৩৬.৫৩ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ডিক্লেয়ারেশন অনুযায়ী অধিকাংশ টাকাই তিনি জমান সেভিংস অ্যাকাউন্টে। এছাড়াও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে কিছু টার্ম ডিপোজিট করেছেন নরেন্দ্র মোদী।
এক কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়ে ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ এক অর্থবর্ষে তাঁর সম্পত্তি বেড়েছে ২৬.২৬ শতাংশ। ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নিজের থেকে তাঁর সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন। ৩০ জুন অবধি তাঁর আর্থিক স্থিতি কি ছিল, সেটা হিসেব দিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যা টাকা পান, অধিকাংশই তিনি জমিয়ে রাখেন। ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের টাকা তিনি ফের লগ্নি করছেন নয়া টার্ম ডিপোজিটে। প্রধানমন্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য কিছু বাড়েনি। বর্তমানে গান্ধীনগরে একটি বাড়ি ও জমি আছে তাঁর।
মূলত এলআইসি, এনএসসিতে টাকা খাটান মোদী। ইক্যুইটি মার্কেটের দিকে পা বাড়াননি তিনি। বর্তমানে মোদীর মাইনে মাসে দুই লাখ টাকা। যদিও কোভিডের জেরে ৩০ শতাংশ মাইনে কম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেনে তিনি ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
বর্তমানে তাঁর সেভিংস অ্যাকাউন্টে আছে ৩.৩৮ লাখ টাকা। গান্ধীনগরের এসবিআইয়ের ফিক্সড ডিপোজিটে তাঁর ১.৬ কোটি টাকা জমা আছে। প্রধানমন্ত্রীর কোনও গাড়ি নেই। তাঁর চারটি সোনার রিং আছে। এনএসসি-তে আছে ৮.৪৩ লাখ টাকা।
বর্তমানে প্রতি বছর সাংসদরা নিজেদের সম্পত্তির খতিয়ান দেন। শুধু মোদী নয়, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং সহ মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সাংসদরা নিজেদের সম্পত্তি ও ধারের হিসেব দিয়েছেন। বাজপেয়ী আমল থেকেই প্রথম এই রীতি চালু হয় স্বেচ্ছায় তথ্য দেওয়ার স্বচ্ছতার খাতিরে।