পঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার গাফিলতি মামলায় তৎকালীন ডিস্ট্রিক্ট সিনিয়র সুপারিটেন্ডেন্ট (এসএসপি) হরদীপ ভানসকে দায়ী করল কমিটি। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নিজের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছিলেন তৎকালীন এসএসপি। পর্যাপ্ত সময় ও বাহিনী থাকা সত্ত্বেও বিকল্প রুটের বন্দোবস্ত করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রার নেতৃত্বাধীন কমিটি যে রিপোর্ট জমা গিয়েছে, তা কেন্দ্রীয় এবং পঞ্জাব সরকারকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এখন ইতি টেনে দেওয়া হয়েছে।
কী হয়েছিল?
গত ৩ জানুয়ারি পঞ্জাবে একগুচ্ছ কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর। সেজন্য সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নেমেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিব, ভাতিন্দা থেকে হেলিকপ্টারে জাতীয় শহিদ মেমোরিয়ালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি এবং কম দৃশ্যমানতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ২০ মিনিটে অপেক্ষা করেও আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় মোদীক সড়কপথে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যা দু'ঘণ্টার বেশি লাগত। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে আশ্বস্ত করেছিলেন পঞ্জাব পুলিশের ডিজি। কিন্তু জাতীয় শহিদ মেমোরিয়ালের ৩০ কিলোমিটার আগে একটি উড়ালপুলে দেখা গিয়েছিল, রাস্তা আটকে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা। সেই উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। যা প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় গলদ।
আরও পড়ুন: মোদীর 'নিরাপত্তায় গলদে’ তদন্তের ধরণ নিয়ে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র, কমিটি গঠন SC-র
অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, আগেভাগেই পঞ্জাব সরকারকে প্রধানমন্ত্রীর সূচির বিষয়ে জানানো হয়েছিল। নিয়ম মোতাবেক, পঞ্জাব সরকারকে যাবতীয় বন্দোবস্ত করতে হত। বিকল্প পরিকল্পনাও তৈরি রাখতে হয় রাজ্য সরকারকে। সড়কপথে যাওয়ার জন্য বাড়তি নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। কিন্তু তা স্পষ্টত করা হয়নি। সেই পরিস্থিতিতে পুরো বিষয়টি ‘গুরুতরভাবে’ দেখা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। ‘নিরাপত্তায় বড়সড় গলদের’ জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। পরবর্তীতে তিন সদস্যের কমিটির গঠন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।