আগামী ২৬ মার্চ দু'দিনের বাংলাদেশ সফরে যেতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত বছর করোনাভাইরাস প্রকোপ শুরুর পর এটাই হতে চলেছে মোদীর প্রথম বিদেশ সফর। তাতে যথারীতি অগ্রাধিকার পাচ্ছে ‘প্রতিবেশি প্রথম’ নীতি।
দু'দিনের সফরে একঝাঁক কর্মসূচি আছে মোদীর। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ - 'মুজিব বর্ষ' উদযাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেইসঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে হাজির থাকবেন। সেই অনুষ্ঠানগুলিকে ‘তিনটি উল্লেখজনক অনুষ্ঠান’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। সফরের প্রথম দিনেই (২৬ মার্চ) বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার টেবিলে বসবেন। রাষ্ট্রপতি মহম্মদ আবদুল হামিদ এবং বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমের সঙ্গেও বৈঠক সারবেন।
সাউথ ব্লকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিত মহামারীর প্রকোপ শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ হতে চলেছে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর। যে সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে যোগসূত্র আছে, তাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
২০১৫ সালে শেষবার বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মোদী। তারপর থেকে একাধিকবার হাসিনার সঙ্গে ভার্চুয়ালি আলাপচারিতা সেরেছেন। গত সপ্তাহেই ত্রিপুরায় ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ‘মৈত্রী সেতু’-র উদ্বোধন করেন মোদী। সেই সেতুর ফলে আগরতলার সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ আরও উন্নত হবে। বাড়বে বাণিজ্যের পরিমাণ। নয়া সেতুর ফলে আগরতলার থেকে নিকটতম আন্তর্জাতিক বন্দরের (চট্টগ্রাম) দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারের নিচে হয়ে গিয়েছে। আগে আগরতলার সবথেকে কাছে ছিল কলকাতা বন্দর।যার দূরত্ব ১,৬০০ কিমি। সাউথ ব্লকের কর্তাদের মতে, একাধিকবার ভার্চুয়ালি আলোচনা হলেও মুখোমুখি বৈঠকের উষ্ণতার অভাব রয়ে গিয়েছে। তা এই সফরে কেটে যাবে বলে ধারণা তাঁদের।
একইসঙ্গে এবারের বাংলাদেশ সফরের দ্বিতীয় দিনে (২৭ মার্চ) সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যাবেন। পুজো দেবেন ঈশ্বরীপুরে যশোরেশ্বরীর মন্দিরে। ওড়াকান্দিতে মতুয়াদের মন্দিরেও যাবেন। সাতক্ষীরা এবং ওড়াকান্দি সফরকে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়িয়ে ঘরোয়া রাজনীতি আঙিনায় দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ ভোটের আগে তা রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।