আগামী ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর আমেরিকা সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রক প্রধানমন্ত্রী মোদীর মার্কিন সফরের একটি বিস্তারিত ভ্রমণসূচি শেয়ার করেছে।
কোয়াড সামিট (২১ সেপ্টেম্বর)
মোদীর মার্কিন সফরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ডেলাওয়্যারের উইলমিংটনে কোয়াড নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নিজ শহরে এই বৈঠকের আয়োজন করেন। বাইডেন দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করায় এই শীর্ষ সম্মেলন তাৎপর্যপূর্ণ। আগামী বছর যখন ভারত পরবর্তী কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে, তখন আমেরিকা একজন নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে।
প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে এএফপিকে বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রথমবারের মতো উইলমিংটনে বিদেশি নেতাদের আপ্যায়ন করবেন, যা কোয়াড নেতাদের প্রত্যেকের সঙ্গে তার গভীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং আমাদের সব দেশের জন্য কোয়াডের গুরুত্বের প্রতিফলন।
কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনে জাপানের ফুমিও কিশিদা এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত এক বছরে জোটের অর্জিত অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন কোয়াডের নেতারা। তারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে তাদের উন্নয়ন লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা করার জন্য বছরের জন্য এজেন্ডা নির্ধারণ করবে।
নিউ ইয়র্কে 'মোদী ও আমেরিকা' প্রোগ্রেস টুগেদার' অনুষ্ঠান (২২ সেপ্টেম্বর) রবিবার
নিউ ইয়র্কে নাসাউ ভেটেরান্স মেমোরিয়াল কলিজিয়ামে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, প্রবাসী ভারতীয়দের ২৪ হাজারেরও বেশি সদস্য 'মোদী অ্যান্ড ইউএস' প্রোগ্রেস টুগেদার' শীর্ষক অনুষ্ঠানে নাম লিখিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সেমিকন্ডাক্টর এবং বায়োটেকনোলজির মতো অত্যাধুনিক ক্ষেত্রে দু'দেশের মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। মোদী ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক দৃশ্যপটে সক্রিয় চিন্তাবিদ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথেও কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
'সামিট অফ দ্য ফিউচার অ্যাট ইউএনজিএ-তে (২৩ সেপ্টেম্বর)
নিউইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় 'সামিট অফ দ্য ফিউচার'-এ ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এ বছর শীর্ষ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হ'ল 'এক উন্নততর আগামীর জন্য বহুপাক্ষিক সমাধান'। এই সম্মেলনে বিপুল সংখ্যক বিশ্ব নেতৃবৃন্দ অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।