পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় একটি সংক্ষিপ্ত টুইটবার্তায় মোদী বলেন, ‘কোভিড-১৯ থেকে (পাকিস্তানের) প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দ্রুত সেরে উঠুন। আরোগ্য কামনা করছি।’
শনিবার দুপুরের দিকে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিষেবার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফয়জল সুলতান একটি টুইটবার্তায় বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাড়িতে নিভৃতবাসে আছেন তিনি।' পাকিস্তানের শাসক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে ফয়জলের টুইটটি রিটুইট করা হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ইমরান যাঁদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তাঁদের নিভৃতবাসে থাকা বা করোনা পরীক্ষা করানোর মতো কোনও পরামর্শ দেননি ফয়জল। অথচ সম্প্রতি প্রায় নিয়মিত বিভিন্ন বৈঠক করতেন বছর ৬৭-র ইমরান। পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা শাহবাজ গিল জানান, ইমরানের মৃদু উপসর্গ আছে। এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকাকরণের আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ইমরান।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার রাজধানী ইসলামাবাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি কনফারেন্সে ছিলেন। যেখানে বড় সংখ্যক প্রতিনিধি ছিলেন। বিনা মাস্কেই সেই কনফারেন্সে ভাষণ দিয়েছিলেন। একই কায়দায় গরিবদের জন্য আবাসন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তার আগেরদিন অবশ্য নিজেই করোনা সংক্রান্ত সুরক্ষা বিধি মেনে চলার আর্জি জানিয়েছিলেন। গত বৃহস্পতিবার করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন ইমরান। তারপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তরফে একটি টুইটবার্তায় বলা হয়েছিল, ‘আজ প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে টিকা দেওয়া হয়েছে। মহামারীর তৃতীয় স্রোতের (ওয়েভ) প্রেক্ষিতে যাবতীয় নির্দেশিকা কঠোরভাবে মেনে চলার আর্জি জানিয়েছেন।’
গত ১০ মার্চ থেকে পাকিস্তানের আমজনতার জন্য টিকাকরণ শুরু হয়েছে। চিনা টিকা নিয়ে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা উদ্বেগ প্রকাশ করায় প্রবীণদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ইমরানকে চিনা টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম। চিনের টিকার পাশাপাশি রাশিয়ার স্পুটনিক-৫ এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিশিল্ডকেও জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।