দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে মঙ্গলবার মধ্যরাত রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন তিনি। সঙ্গে জানিয়েছেন, কেন লকডাউন ঘোষণা করা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। ঝলকে দেখে নিন, নিজের বক্তব্যে কী কী বললেন প্রধানমন্ত্রী।
১. ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর যে সংকল্প নিয়েছিলাম প্রত্যেক ভারতীয় সম্পূর্ণ সংবেদনশীলতার সঙ্গে দায়িত্বের সঙ্গে অবদান দিয়েছেন।
২. করোনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে দেখছেন - শুনছেন। দেখছেন, দুনিয়ার সব থেকে শক্তিশালী দেশকেও অসহায় করে দিয়েছে এই ভাইরাস। এই দেশগুলি চেষ্টা করেও কিছু করতে পারছে না।
৩. করোনায় প্রথম ১ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন ৬৪ দিনে। পরের ১ লক্ষ মানুষের সংক্রমিত হয়েছেন মাত্র ১১ দিনে। তৃতীয় এক লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৪ দিনে।
৪. এই দেশগুলির ২ মাসের অভিজ্ঞতা থেকে যা বোঝা যাচ্ছে, বিশেষজ্ঞরাও যা বলছেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং।
৫. কিছু মানুষ ভাবছেন, শুধুমাত্র আক্রান্তকেই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং প্রযোজ্য। কিন্তু সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং সবার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর জন্যও। এই রকম গাফিলতি জারি থাকলে ভারতকে খুব বড় মূল্য চোকাতে হবে। কত বড় মূল্য তা হিসেবেরও বাইরে।
৬. রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে গুরুত্ব দিতে হবে। আজ রাত ১২টা থেকে গোটা দেশে লকডাউন হচ্ছে। এর ধরনের কার্ফুই। জনতা কার্ফুর থেকে আরও কঠিন।
৭. এই লকডাউনের অর্থিক মূল্য চোকাতে হবে।
৮. দেশে যে, যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন। ২১ দিনের লকডাউন। আসন্ন ২১ দিন প্রত্যেক নাগরিক ও পরিবারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ২১ দিন সংযত না হলে দেশ ও পরিবার ২১ বছর পিছিয়ে যাবে।
৯. বাড়িতে থাকুন, বাড়িতে থাকুন, শুধু বাড়িতেই থাকুন। প্রধানমন্ত্রী নয়, পরিবারের সদস্য হিসাবে বলছি।
১০. ২১ দিন বাইরে বেরোনো কী জিনিস ভুলে যান।
১১. আপনার ঘরের দরজায় লক্ষ্মণরেখা টেনে দিয়েছে। তার বাইরে একটা পদক্ষেপ করোনার মতো মহামারীকে আপনার ঘরে নিয়ে আসতে পারে।
১২. মনে রাখবেন, জান হ্যায় তো জাহান হ্যায়।
১৩. যারা এই কঠিন সময় কর্তব্যে অবিচল, বাড়ি বসে তাদের কথা ভাবুন।
১৪. স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করা হবে। আরও ভেন্টিলেটর কেনা হবে।
১৫. এই পরিস্তিতিতে দ্রুত গুজব ছড়ায়। গুজবে কান দেবেন না।