মহারাষ্ট্রে ভোট প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেছেন যে তারা পাকিস্তানের ভাষায় কথা বলছে। কংগ্রেসকে তিনি ‘ভারত বিরোধী শক্তি’ বলে কটাক্ষ করে জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কংগ্রেস এবং তার সহযোগীরা জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ এবং বিচ্ছিন্নবাদকে মদত দিতে চাইছে। সেই কারণে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে চাইছে।
আরও পড়ুন: 'মোদীর মন্ত্রে' পূর্ণ সায়, অথচ 'যোগীর স্লোগানে' কেন আপত্তি অজিত পাওয়ারের?
পুনের এসপি কলেজ গ্রাউন্ডে নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় মোদী বলেন, তাঁর সরকারের অধীনে ৩৭০ ধারা স্থায়ীভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে। কেউ ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে পারবে না। পাকিস্তান বহু বছর ধরে যে ভাষায় কথা বলে আসছে কংগ্রেস এখন সেই ভাষাতেই কথা বলছে।
মোদী কংগ্রেসকে নিশানা করে আরও বলেন, তারা প্রতিটি সমাবেশে সংবিধানের প্রতিলিপি দেখাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে মোদীর প্রশ্ন, ‘কংগ্রেস কয়েক দশক ধরে সরকারে ছিল। তা সত্ত্বেও কেন তারা সারা দেশে এই সংবিধান বাস্তবায়ন করতে পারেনি তা জানতে চাই।’ মোদী ছাড়াও এদিনের সমাবেশে ছিলেন উপ মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান অজিত পাওয়ার।
মোদী কংগ্রেস নেতাদের ঔপনিবেশিক মানসিকতাসম্পন্ন বলে অভিযুক্ত করেছেন।তিনি বলেন, ‘মহারাষ্ট্র শিবাজি মহারাজের রাজ্য। কিন্তু, কংগ্রেস ঔরঙ্গজেবের প্রশংসা করতে পছন্দ করে। এরা বীর সাভারকারকে গালিগালাজ করে। আমি যুবরাজকে (রাহুল গান্ধী) তাঁর বক্তৃতায় বীর সাভারকর এবং বালাসাহেব ঠাকরেকে অভিনন্দন জানাতে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।’
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসকে অসৎ দল এবং তোষণের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘এরা শুধু সরকারে থাকতে পছন্দ করে এবং বর্ণের ভিত্তিতে সমাজকে বিভক্ত করছে।’
কর্ণাটকের প্রসঙ্গত তুলেও মোদী কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার মহারাষ্ট্রে প্রচারের জন্য অর্থ সরবরাহ করছে। সেটা সাধারণ মানুষের টাকা।কংগ্রেস দীর্ঘ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং কর্ণাটকে সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু, এখন তারা সেখানকার মানুষকে লুট করছে। সেই লুটের একটা অংশ মহারাষ্ট্রে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনের জন্য।’ এরপরেই মোদী বলেন, মহারাষ্ট্রকে বাঁচাতে গেলে কংগ্রেসকে দূরে রাখতে হবে। কারণ বিজেপির জোটের অধীনেই মহারাষ্ট্রে উন্নয়ন সম্ভব।